বেজিং: রাজনাথ সিংহের আশায় জল ঢেলে দিয়ে ডোকলাম থেকে নিঃশর্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়াই সংঘাত মেটানোর একমাত্র রাস্তা বলে জানিয়ে দিল চিন।

রাজনাথ সোমবার বলেছিলেন, ডোকলাম ইস্যুর সমাধান মিলবে শীঘ্রই। বেজিংও ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন। ভারত কোনও প্রতিবেশীকে কখনও আক্রমণ করেনি বা কোনও আধিপত্যবাদী মানসিকতাও ভারতের নেই বলেও জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কিন্তু বেজিং প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে চলতি প্রোপাগান্ডামূলক আক্রমণের লাইন বহাল রেখেই ফের দাবি করেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীই 'বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়েছে'।

চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চ্যুনিংয়ের সাফ কথা, ডোকলামে চিনের রাস্তা তৈরিতে বাধা দেওয়ার পিছনে ভারত 'হাস্যকর' কারণ দেখিয়েছে। এ ঘটনার একমাত্র সমাধান হল, বিনা শর্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অস্ত্র-সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলতে হবে।

দু মাসের বেশি হয়ে গেল সিকিম সেক্টরের কাছে ডোকলাম এলাকায় সংঘাত চলছে ভারত, চিনের মধ্যে। ওখানে চিনা সেনাবাহিনীর রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে দেয় ভারত। সংঘাতের সূচনা তখনই। ভারতের দাবি, ওই রাস্তা হলে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ পেয়ে যাবে চিন।

ভুটান ডোকলামকে তার জায়গা বলে জানালেও চিনের দাবি, ওটা তার ভূখণ্ড।

সরকারি চিনা মিডিয়া এই বিরোধ নিয়ে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে ভারতকে, আপত্তিকর ভিডিও ছেড়েছে। গত ১৫ আগস্ট লাদাখে পাথর ছোঁড়াছুড়ি হয়েছে দু দেশের সেনা জওয়ানদের মধ্যে। তার মধ্যেই চ্যুনিং বলেছেন, চিন সবসময় শান্তি চায়, কিন্তু একইসঙ্গে আমরা নিজেদের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। চিনের এলাকাগত অখণ্ডতা বানচাল করতে দেব না কোনও দেশ বা ব্যক্তিকেই।