ওয়াশিংটন: সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের দুমুখো নীতি নিয়ে ফের সুর চড়াল আমেরিকা। সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিতে পাকিস্তান ভারতকে ‘অজুহাত’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করল ট্রাম্প প্রশাসন। এক মার্কিন আধিকারিক বলেছেন, ভারত তাদের ঘিরে ফেলছে, এই বাহানা দেখিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া জারি রেখেছে পাকিস্তান।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)-র মুখপাত্র মিখায়েল অ্যান্টন বলেছেন, আফগানিস্তানে ভারত যা করছে, তা পাকিস্তানের পক্ষে কোনও বিপদই নয়। কারণ, ভারত আফগানিস্তানে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে না বা সেনাও মোতায়েন করছে না।

অ্যান্টন বলেছেন, ভারত এমন কিছু করছে না যাতে পাকিস্তান মনে করতে পারে যে তাকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তান অহরহ এই ধরনের অভিযোগ করছে। আর এই অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় সমর্থন দিয়ে চলেছে।

এর আগে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত নীতি ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানকে তোপ দেগে বলেন, আফগানিস্তানে আমেরিকানদের মারছে যে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এজেন্টরা’, তাদেরই নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের লালন পালন করে গেলে পাকিস্তানকে অনেক কিছু খুইয়ে তার দাম চোকাতে হবে।

সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের আরও বড় ভূমিকার পক্ষে সওয়াল করেন ট্রাম্প। আফগানিস্তানে শান্তির জন্য আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ট্রাম্প বলেন, পাকিস্তানের তালিবানের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া আর বরদাস্ত করবে না ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে আমেরিকাকে সাহায্য করলে বরং লাভবান হবে তারা। তালিবান ও অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি এই অঞ্চল ও তার বাইরেও বিপদের সঞ্চার করেছে।

ট্রাম্পের এই নয়া কৌশল ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান বলেছে, শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে বিপদের বিষয়টি জটিল ভূরাজনীতির বিষয়টি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় না। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক এই প্রসঙ্গেও কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীর বিতর্ক সমাধান না হওয়াটা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে একটা বাধা।

পাকিস্তানের বক্তব্য, জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলের মতো 'মিথ্যে ভাষ্য' না দিয়ে আমেরিকার উচিত সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করা।

পাকিস্তানের এই বক্তব্য অজুহাত আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিল আমেরিকা।