নিউ ইয়র্ক: ফেসবুক, ট্যুইটার ও গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আজ জানিয়েছেন, ৬ জানুয়ারির ঘটনার পর তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড বা বন্ধ করে দেওয়া নিয়েই মামলা করতে চলেছেন। ফেসবুক, ট্যুইটার ও গুগল কর্তৃপক্ষ এবং এই তিন সংস্থার সিইও-দের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে নিজের গলফ ক্লাব থেকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘টেক জায়ান্ট ফেসবুক, গুগল, ট্যুইটারের বিরুদ্ধে আমি মামলা দায়ের করতে চলেছি। এই তিন সংস্থা এবং তাদের সিইও মার্ক জুকারবার্গ, সুন্দর পিচাই ও জ্যাক ডোরসির বিরুদ্ধে মামলা করব।’
ট্রাম্প নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেও, এখনও এ বিষয়ে ফেসবুক, ট্যুইটার ও গুগলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। তিনি ভোটের ফল মানতে রাজি ছিলেন না। কারচুপি করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তাঁর সমর্থকরা ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে তাণ্ডব চালান। ট্রাম্প নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটের ফল নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। এরপরেই ট্যুইটার ও ফেসবুকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, ট্রাম্প যে ধরনের পোস্ট করছিলেন, তার মাধ্যমে হিংসায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর অ্যাকাউন্ট এখনও বন্ধই রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও, ট্রাম্প এখনও দাবি করে চলেছেন, বাইডেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনিই জয় পেয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর এই দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী আধিকারিক, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বিচারকরা সবাই জানিয়েছেন, ভোটে কারচুপির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ট্রাম্প অবশ্য নিজের দাবিতে অনড়। তিনি ফ্লোরিডার একটি আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। কোনওরকম সমঝোতা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, আইনি লড়াইয়ে জয় পাবেন।