নিয়মিত ট্যুইট করলেও ট্রাম্প কদাচিত্ মেল বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন। নতুন বর্ষবরণের পার্টিতে তাঁর ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, কোনও কিছু গুরুত্বপূর্ণ হলে তা লিখে পুরানো পদ্ধতিতে কুরিয়ারে পাঠানো উচিত। কোনও কম্পিউটারই সুরক্ষিত নয়।
উল্লেখ্য, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাশিয়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছিল বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি অভিযোগ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত সপ্তাহের প্রথমে রুশ গুপ্তচর সংস্থাগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ৩৫ রুশ কূটনাতিককে বহিষ্কারও করেছেন। কিন্তু ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ খারিজ করেছেন বলে জানা গেছে। রুশ সরকারও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গোয়েন্দা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ। মার্কিন আধিকারিকদের বিষয়টি নিয়ে সুনিশ্চিত হতে হবে।
এই প্রসঙ্গে তিনি ইরাকে মার্কিন আক্রমণের আগে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকা সম্পর্কে গোয়েন্দা রিপোর্টের ব্যর্থতার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেছেন।
হ্যাকিং সম্পর্কে নিজেকে একজন বিশেষজ্ঞ বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমি হ্যাকিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানি। হ্যাকিং প্রমাণ করাটা খুবই কঠিন।