নয়াদিল্লি: প্রথমবার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন কয়েকটি নক্ষত্রের সন্ধান পেলেন, যার মধ্যে থেকে রেডিও সঙ্কেত বিচ্ছুরিত হচ্ছে। এই সঙ্কেত ইঙ্গিত দেয় যে, ওই নক্ষত্রগুলিতে থাকা গ্রহগুলিতে সম্ভাব্য প্রাণ রয়েছে।


নেদারল্যান্ডস-এ অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রেডিও অ্যান্টেনা লো-ফ্রিকোয়েন্সি অ্যারে (LOFAR) ব্যবহার করে এই সিগন্যালগুলি সংগ্রহ  করা হয়েছে।


যুগ যুগ ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটাই প্রশ্ন ধাওয়া করে বেরিয়েছে। তা হল -- এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমরা অর্থাৎ, পৃথিবীবাসী কি একলা? দীর্ঘদিন ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই রহস্যের উন্মোচন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 


দাবি করা হয়েছে, এই নতুন কৌশলের দ্বারা দূর কোনও নক্ষত্রে লুকিয়ে থাকা প্রাণ সঞ্চারিত হওয়া গ্রহের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আশা, এই নতুন মাধ্য়ম তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সবচেয়ে বড় ধাঁধার সমাধান হতে পারে। 


আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে ধরা পড়ল ‘আশ্চর্য’ রেডিও সঙ্কেত!


কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বেঞ্জামিন পোপ এবং ডাচ ন্যাশনাল অবজারভেটরি অ্যাস্ট্রনের সহকর্মীরা এই সঙ্কেতগুলি সনাক্ত করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁরা LOFAR-এর মাধ্যমে সঙ্কেত প্রেরক কোনও গ্রহের সন্ধান চালাচ্ছেন।


জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন ১৯টি দূরবর্তী লাল বামন নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন যেখান থেকে সঙ্কেত সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে চারটি নক্ষত্রকে তাদের প্রদক্ষিণকারী গ্রহের অস্তিত্বের দ্বারা সবচেয়ে ভালভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।


জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জানি যে আমাদের নিজস্ব সৌরজগতের গ্রহগুলি শক্তিশালী বেতার তরঙ্গ নির্গত করে কারণ তাদের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি সৌর ঝড়ের সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলির রেডিও সঙ্কেতগুলি এখনও তোলা সম্ভব হয়নি।


লিডেন ইউনিভার্সিটির গবেষক জোসেফ কলিংহাম বলেন, আমাদের পৃথিবীতে অরোরা রয়েছে, যা সাধারণত উত্তর এবং দক্ষিণ আলো হিসাবে স্বীকৃত, যা সৌর ঝড়ের সঙ্গে গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্রের সংযোগের ফলে শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গও নির্গত করে।