ওয়াশিংটন: শেষের শুরু কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস-এর? সিরিয়ায় তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে তারা হারের মুখে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের স্বঘোষিত রাজধানী রাকায় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে। আকাশ ও স্থলে পথে- সাঁড়াশি আক্রমণে জমি হারানোর আশঙ্কাতেই তাদের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন আইএস-দমন অভিযানে যুক্ত এক মার্কিন আধিকারিক।
ওই মার্কিন আধিকারিক বলেছেন, রাকার কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় আকাশ পথে ও স্থলে আক্রমণের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুগুলি আড়াল করতে আইএস তাদের যোদ্ধাদের মোতায়েন করছে। আই-এস বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র স্টিভ ওয়ারেন বলেছেন, রাকায় জরুরী অবস্থা ঘোষণার বিষয়টি নজরে এসেছে। জোট বাহিনীর আক্রমণে বিপন্ন বোধ করছে আইএস। তারা বুঝতে পেরেছে যে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এবং সিরিয়ান আরব কোয়ালিশন পূর্ব ও পশ্চিম-উভয় দিক থেকেই আইএস-কে ঘিরে ফেলেছে। ওই দুই এলাকাতেই তাদের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করছে জোট বাহিনী।
এসডিএফের মুখপাত্র তাজির কোবানি চলতি সপ্তাহের গোড়ায় ঘোষণা করেছিলেন যে, উত্তর সিরিয়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠীগুলির কমান্ডাররা রাকাকে আইএসের কবলমুক্ত করার জন্য চূড়ান্ত অভিযানের জন্য যৌথভাবে পরিকল্পনা করছে।
আইএস-এর ওপর চূড়ান্ত আঘাত হানার ব্যাপারে মার্কিন সামরিক বাহিনীর নজরদারি বিমানের তথ্য কাজে লাগতে পারে। মার্কিন বিমানের নজরদারিতে ইতিমধ্যেই রাকায় আইএস যোদ্ধাদের গতিবিধি ধরা পড়েছে, যা তাদের ওপর হামলা চালানোর সুযোগ এনে দেবে। তবে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাঘদাদি এখনও রাকা বা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।