নয়া দিল্লি : বিশ্বজুড়ে হঠাৎ ডাউন সোশ্যাল মিডিয়া। একসঙ্গে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অকেজো হয়ে পড়েছে। সোমবার রাত থেকে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা।


ফেসবুক ওয়েবসাইটের তরফে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে, দুঃখিত, কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং শীঘ্রই এটার সমাধান করা হবে। এনিয়ে ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন একাধিক ব্যবহারকারী। একাংশের দাবি, জনপ্রিয় এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলি ভারতীয় সময় রাত ৯টা থেকেই অকেজো হয়ে পড়েছে।


এই তিন ফেসবুক মালিকানাধীন সাইট ভারতে নিজেদের ক্যাটেগরিতে, অর্থাৎ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ফটো শেয়ারিং ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে মার্কেট লিডার।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের নতুন তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম লাগু হওয়ার পরই সক্রিয় হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতে ২০.৭ লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। সম্প্রতি অগস্টের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, ৪২০টি অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। মূলত, নিয়ম ভেঙে একসঙ্গে অত্যধিক মেসেজ (বাল্ক মেসেজ) করার জন্যই এই বিপুল পরিমাণ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে কোম্পানি। যেখানে বলা হয়েছে, গ্রিভেন্স চ্যানেল থেকেই সংস্থার কাছে এই অভিযোগ জমা পড়েছে। আগেই হোয়াটসঅ্যাপের প্লাটফর্মে ক্ষতিকারক কনটেন্ট বা বিষয় রোধ করার জন্য কিছু টুল তৈরি করেছিল কোম্পানি। যা দিয়ে অপ্রয়োজনীয় বাল্ক মেসেজ বন্ধ করেছে কোম্পানি।


তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও ৩০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল কোম্পানি। জুন মাসের ১৬ তারিখ থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মাত্র ৪৬ দিনে এই বিপুল সংখ্যক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। অনলাইনে গালাগাল বা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সেই অ্যাকাউন্ট।


কোম্পানি জানিয়েছে মূলত, (বাল্ক মেসেজ) বা একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ মেসেজের ওপর নজরদার চালায় কোম্পানি। কোনও ধরনের অভিযোগ ছাড়াও নিয়মের ফাঁক দেখলেই বন্ধ করা হয় সেই সব অ্যাকাউন্ট। শুধু ভারত নয়, বিদেশেও একই নীতি অনুসরণ করে কোম্পানি।