ওয়াশিংটন:  প্রথমে ড্যানিয়েলা গ্রিন ছিলেন পেশায় এফবিআই ট্রান্সলেটর। তাঁর দায়িত্ব ছিল আইএস জঙ্গি সংগঠনের ওপর চরবৃত্তি চালানো। কিন্তু স্পাই করতে গিয়ে সেই মহিলা পড়ে গেলেন এক আইএস সদস্যের প্রেমে। শুধু প্রেম নয়, পরে মিথ্যা বলে সিরিয়ায় পালিয়ে বিয়েও করেন সেই জঙ্গিকে ড্যানিয়েলা।

মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সময় দাখিল হওয়া বিভিন্ন তথ্য থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ড্যানিয়েলার তাঁর সংস্থার তরফে নিরাপত্তাজনিত সবচেয়ে উচ্চস্তরে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স ছিল। তিনি সেটা কাজে লাগিয়ে এফবিআই-এর ডেট্রয়েট অফিসে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে তুরস্কে পালিয়ে যান। ঘটনাটি ২০১৪ সালের জুন মাসের ঘটনা।

তুরস্কে পালিয়ে সেই আইএস জঙ্গির সঙ্গে দেখা করে, তাকে বিয়েও করেন ড্যানিয়েলা। কিন্তু তারপরই তাঁর ভুল ভাঙে। ওই আইএস জঙ্গি ছিলেন একজন মারাত্মক চরিত্রের মানুষ, পেশায় জার্মান র‍্যাপার। তার নাম ছিল ড্যানিস কাসপার্ট, পরিচিত ছিল ডেসো ডগ নামে।

ডেসোকে জঙ্গি হিসেবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্বীকৃতি দেয় ২০১৫ সালে। তার মূল কাজ ছিল জার্মান ভাষীদের আইএস-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত করে বেশি সংখ্যায় জার্মানকে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করা।

তবে এফবিআই ট্রান্সলেটর ওই মহিলাকে কীভাবে নিজের জালে ফাঁসালো ওই আইএস জঙ্গি, সেব্যাপারে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই গোয়েন্দাদের কাছে। তবে মনে করা হচ্ছে ওই জঙ্গির ব্যক্তিগত স্কাইপে থেকে তারা প্রতিদিন কথা বলত।

প্রসঙ্গত, ড্যানিয়েলা কাসপার্টকে বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান। কোনওমতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে এসে এফবিআই-এর হাতে আত্মসমর্পণ করেন। তারপর মার্কিন গোয়েন্দাদের সবধরনের তথ্য দিয়েই সাহায্য করেন ড্যানিয়েলা। বিচারে নূন্যতম ২৪ মাসের জেল হয় তাঁর। আপাতত দিন কয়েক আগে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।