লাহোর: হাফিজ মহম্মদ সঈদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। পাকিস্তানের ফেডেরাল বাণিজ্যমন্ত্রী খুররম দস্তগীর বলেছেন, সমস্ত সরকারি সংস্থার মত নিয়েই সঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আপাতত ওকে গৃহবন্দি করেছে সরকার। তবে ওর নামে এফআইআর নথিবদ্ধ করা হবে। কিন্তু কোন মামলায় মুম্বই হানার এই মাস্টারমাইন্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হবে, খোলসা করেননি তিনি। দুএকদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন দস্তগীর। পাশাপাশি আগামী দিনে সঈদের জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত্-এর আরও কর্মীকে সন্ত্রাসদমন আইনের চতুর্থ শিডিউলে আটক করা হবে, ওদের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পঞ্জাব প্রদেশের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপস নয়। কাশ্মীর নিয়ে আমাদের, নওয়াজ শরিফ সরকারের পলিসি জামাত-উদ-দাওয়ার পলিসি থেকে একেবারেই ভিন্ন। জামাত ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত, দুটি গোষ্ঠীকেই নজরদারি তালিকায় ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির সঈদকে ৯০ দিন গৃহবন্দি করে রাখার পদক্ষেপের নিন্দায় সরব। ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ গোষ্ঠীর নেতা, পঞ্জাব বিধানসভার বিরোধী নেতা মাহমুদুর রশিদের দাবি, কাশ্মীরীদের অধিকারের পক্ষে সরব হওয়ার জন্যই শাস্তি দেওয়া হল সঈদকে। ওর 'দেশপ্রেম' নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও অবকাশই নেই। সঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া থেকেই স্পষ্ট, আমেরিকা, ভারতের চাপে মাথা নত করেছে নওয়াজ সরকার। সঈদের মুক্তি দাবি করেন জামাত-ই-ইসলামি নেতা, পঞ্জাব বিধানসভা সদস্য ওয়াসিম আখতার।
যদিও পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ডন-এর মত,  সঈদ ও তার  সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতারি, ফেডারেল অফিসারদের মুখ থেকে যেসব কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, তার সমর্থনে ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস-এর ডিজি্ মেজর জেনারেল আসিফ গফুরের মন্তব্যে স্পষ্ট, সঈদ ও তার সঙ্গে যোগ থাকা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে যেসব ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে, তা চালিয়েই যাওয়া হবে। এ ব্য়াপারে কোনও সংশয় নেই যে, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামগ্রিক ভাবে জিরো টলারেন্স নীতি নিতে হবে, নইলে এ ব্য়াপারে লড়াইয়ে জিততে পারবে না।