কায়রো: মাঝ আকাশে বিস্ফোরণের ফলেই ভেঙে পড়েছে মিশরের বিমানটি। এমনই বলছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। তিনি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানটিতে থাকা যাত্রীদের দেহাবশেষ পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

 

ওই বিশেষজ্ঞ বলছেন, কায়রোর একটি হাসপাতালের মর্গে তিনি যাত্রীদের দেহের ৮০টি অংশ পরীক্ষা করেছেন। সব যাত্রীর দেহই ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। কারও দেহেরই সব অংশ পাওয়া যায়নি। কারও হাত, কারও পা, আবার কারও মাথার একটি অংশ পাওয়া গিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে বিস্ফোরণের ফলেই ধ্বংস হয়েছে বিমানটি। তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ সেটা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।

 

গত বৃহস্পতিবার প্যারিস থেকে কায়রো যাওয়ার পথে ভূমধ্য সাগরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। ওই বিমানে থাকা ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিশর সরকার সন্ত্রাসবাদী হামলার ফলে বিমান ভেঙে পড়ার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না। গ্রিসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং উড়ান বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলছেন। তবে প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত কেউই এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু বলতে চাইছেন না।

 

ভেঙে পড়া বিমানটির ‘ব্ল্যাক বক্স’ এখনও পাওয়া যায়নি। সেটি পাওয়া গেলে বিমান ধ্বংস হওয়ার কারণ স্পষ্ট হতে পারে। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারে ডুবো জাহাজ পাঠিয়েছে মিশর সরকার। ফ্রান্স, ব্রিটেন, সাইপ্রাস, গ্রিস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিশরকে সাহায্য করছে।