বার্লিন:  জার্মানির এক নার্স দুবছর আগে দুই রোগীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি দুজন নয়, ৯০ জন বা তারও বেশি সংখ্যায় রোগীকে হত্যা করেছে। যুদ্ধ-পরবর্তী জার্মানিতে এটাই সবচেয়ে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড।


নীলস হোয়েগেলকে ২০১৫ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে জেলে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সেই ব্যক্তি আইসিইউতে থাকা বহু রোগীকে হত্যা করেছে। এছাড়া হত্যার চেষ্টার তালিকাটি আরও বড়। এইধরনের কাণ্ডে হত্যার সংখ্যাটা যথেষ্ট স্পর্শকাতর, দাবি জার্মান প্রশাসনের। প্রসঙ্গত, নিয়েলস রোগীদের শরীরে প্রথমে একধরনের ইঞ্জেকশন দিত। তার জেরে রোগীদের হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যেত। তারপর তাঁদের বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করত ওই নার্স। চেষ্টায় সফল হলে, চিকিত্সকদের সামনে ভগবান হয়ে যেত ওই ব্যক্তি। মূলত এই নার্স একজন সিরিয়ল কিলার। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রায় ১৩০ জনের দেহে মারণ সেই ড্রাগের উপস্থিতি পেয়েছে। তবে কীভাবে এই সমস্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না, কারণ তাদের প্রত্যেককেই কবর দেওয়া হয়ে গেছে।

মূলত এই হত্যালীলার শুরু ২০০৫ সালে। ২০০৮ সালে প্রথম এই নার্সকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তার সাড়ে সাত বছরের জেল হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার পর এই ঘটনার তদন্তে নেমে আরও অনেকের মৃত্যুর খবর সামনে আসে।