কায়রো : অবশেষে স্বস্তি। সুয়েজ খালের যানজট কাটার মুখে। ছয়দিন পরে সেখানে আটকে থাকা তাইওয়ানের ভেসলটিকে ভাসানো সম্ভব হয়েছে। মিশরের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ভাসানো সম্ভব হয় ভেসেলটিকে।
এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহণের কাজ করা তাইওয়ানের এম ভি এভারগ্রিন ভেসেল মঙ্গলবার হঠাৎ একদিকে হেলে আটকে গিয়েছিল সুয়েজ খালে। ৪০০ মিটার লম্বা ও ৫৯ মিটার চওড়া ভেসেলটি আটকে যাওয়ায় যাবতীয় নৌ চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। যার জেরে আটকে পড়ে একাধিক পণ্য পরিবহনকারী জাহাজ। প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল পণ্য ও তেল সরবরাহতে। লয়েড লিসে্টর তথ্য জানাচ্ছে, সুয়েজ খালে যানজটের জেরে প্রতি ঘণ্টায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য ও তেল পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটছিল।
মিশরের ব্যবসা-বাণিজ্য সুয়েজ খালের উপর নির্ভরশীল। ফলে এই খালের মুখ বন্ধ হয়ে থাকায় মিশরের অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়ছিল। তাইওয়ানের ভেসেলে থাকা ২৫ জন কর্মীকে নিরাপদেই উদ্ধার করা গিয়েছিল। তবে বিশালাকৃতি ভেসেলটি আটকে সুয়েজ খালের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়ে অন্তত ৪৫০টি জাহাজ। ভূমধ্য সাগর, লোহিত সাগরে আটকে ছিল জাহাজগুলি। অবশ্য আপাতত সেই সমস্যা মেটর পথে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, দুর্ঘটনার আগে এম ভি এভারগ্রিন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই খবর অস্বীকার করা হয়েছিল। ভেসেলটি কেন আটকে পড়েছে সে নিয়ে ধন্ধ থাকলেও উদ্ধারকাজে অবশ্য শুরু থেকেও প্রবল জোর দেওয়া হয়েছিল। যার ফলেই শেষমেশ সাফল্য মেলে।
১৯৩ কিলোমিটার (১২০ মাইল) দৈর্ঘ্য সুয়েজ খালের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগর সংযুক্ত। এশিয়া থেকে ইউরোপে জলপথে পৌঁছনোর দ্রুততম রাস্তা করে দেয় সুয়েজ খাল। দুই মহাদেশের মধ্যে জলপথে সুয়েজ খাল ছাড়া অন্য রাস্তায় যেতে হল ন্যূনতম দু'সপ্তাহ সময় বেশি লাগে। এদিকে, সুয়েজ খালের যানজট কেটে যেতেই দ্রুত গন্তব্যে পৌংচনোর প্রস্তুতি শুরু করেছে জাহজগুলো।