চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির থাকার জায়গা ও দর্শকদের মাঝখানে তারের বেড়া, নালা আছে। বেড়া-নালা টপকে পাথরের টুকরো ছিটকে এসে আঘাত করে মেয়েটিকে। জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা বাদে মারা যায় মেয়েটি।
হাতির ডেরায় আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রয়েছে বলে দাবি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এমন ঘটনা বিরল, হামেশাই ঘটে না, অস্বাভাবিক, অভাবিত বলে জানিয়েছে তারা।
কিন্তু কেন হাতিটি আচমকা এমন কাণ্ড করে বসল? হস্তী সংক্রান্ত অ্যাম্বোসেলি ট্রাস্টের বিশেষজ্ঞ ডিরেক্টর ফিলিস লি বলেছেন, কোনও হাতি কাউকে টার্গেট করে পাথর তুলে ছুঁড়ে মারছে, সাধারণত এমনটা দেখা যায় না। খুবই অস্বাভাবিক। তবে কোনও কারণে একঘেয়ে লাগলে বা ভিতরে ভিতরে অশান্ত হয়ে উঠলে অবশ্য হাতি এমন আচরণ করে। মেয়েটিকে টার্গেট করেই হাতিটি পাথর ছুঁড়েছে, এমন হতে পারে না। ভিতরের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই এমন আচরণ। সত্যিই তো বলা সম্ভব নয়, বন্দি জীবনে জন্তু-জানোয়াররা কী করে বসবে!
সাম্প্রতিক কালে জানোয়ারের এমন ক্ষিপ্ত আচরণের একটি-দুটি নজির হাতের কাছেই আছে। গত জুনেই ফ্লোরিডার ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ডে অ্যালিগেটরের হামলায় প্রাণ হারায় দু বছরের একটি ছেলে। মে মাসে সিনসিনাটির চিড়িয়াখানায় গরিলার ডেরায় পড়ে যায় ৩ বছরের একটি বাচ্চা। তাকে বাঁচাতে গরিলাটিকে গুলি করে মারেন চিড়িয়াখানার রক্ষীরা।