কলম্বো:কোথায় আছেন শ্রীলঙ্কার (sri lanka) বিদায়ী (ousted) প্রেসিডেন্ট (president) গোতাবায়া রাজাপক্ষে (gotabaya rajapaksha)? ফের তুঙ্গে সংশয়।
মঙ্গলবার সে দেশের পার্লামেন্টের স্পিকার দাবি করেন, শ্রীলঙ্কা ছেড়ে বাইরে যাননি 'গোতা'। কিন্তু সংবাদসংস্থা এএফপি-র নতুন দাবিতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বুধবার। তাদের মতে, স্ত্রী ও দেহরক্ষীকে নিয়ে মালদ্বীপ (maldives)উড়ে গিয়েছেন গত সাত দশকের অন্যতম বিতর্কিত শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট। তবে দেশ ছেড়ে পালানোর আগে বেশ অস্বস্তিকর ঝামেলার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
কী রকম ঝামেলা?
সংবাদসংস্থা এএফপি-র দাবি, প্রথমে বাণিজ্যিক বিমানে চেপে দুবাই যেতে চেয়েছিলেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। কিন্তু বন্দরনায়েক বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে টানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা 'তু তু ম্যাঁয় ম্যাঁয়'চলে তাঁর। তীব্র জনরোষের আঁচে জ্বলতে থাকা দেশে সমস্ত ভিআইপি পরিষেবা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বন্দরনায়েক বিমানবন্দরের কর্মীরা। বলা হয়েছিল, সকল যাত্রীকে সাধারণ কাউন্টার হয়েই আসতে হবে। সম্ভবত এই নির্দেশ নিয়েই রাজাপক্ষে পরিবারের সঙ্গে অশান্তি লাগে বিমানবন্দর কর্মীদের। সূত্রের খবর,সাধারণ পথে দেশ ছাড়তে গেলে ফের জনরোষের মুখে পড়তে হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই আপত্তি করেছিলেন তাঁরা। সে জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অন্তত চারটে বিমান 'মিস'হয় তাঁদের।
অতঃপর...
অভিবাসন দফতর সূত্রে খবর, তার পরই সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন শ্রীলঙ্কার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট। বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে মালদ্বীপ চলে যান তাঁরা। সম্ভবত সেই মর্মে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প পড়েছে তাঁদের। ৭৩ বছরের 'দ্য টার্মিনেটর'-কে আন্তোনভ ৩২ সেনা বিমানে চড়িয়ে দেশের আকাশসীমা পার করে দেয় বায়ুসেনা। চাপের মুখে প্রেসিডেন্টের এক ভাই বেসিল-ও। প্রাক্তন মন্ত্রী বেসিলের শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকত্বও রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। সূত্রের খবর, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ব্যবসা সূত্রে যাতায়াতের যে বিশেষ সুবিধা সেটা পেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, ওই ফাস্ট ট্র্যাক পরিষেবা প্রত্যাহার করেছেন তাঁরা।
ইস্তফার দিন
হিসেবমতো আজই ইস্তফা দেওয়ার কথা গোতাবায়া রাজাপক্ষের। তবে তিনি বিদেশ থেকেই পদত্যাগ করবেন নাকি নতুন কিছু চমক রয়েছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মহল। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের বাসভবন ছেড়ে পালানোর সময় কাতারে কাতারে নথি ও প্রভূত অর্থ ফেলে গিয়েছেন রাজাপক্ষে। আপাতত সবই কলম্বো কোর্টের হেফাজতে। ক্ষমতা হস্তান্তরের পর কোন দিকে যায় সেগুলি, সবটাই এখন দেখার অপেক্ষা।