তেহরান: ইরানের সংসদ ভবনে ও আয়াতোল্লা খোমেইনির সমাধিস্থলে হামলা। জোড়া হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে। সরকারি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, দেশের পার্লামেন্ট ও বিপ্লবী নেতা রুরোল্লাহ খোমেইনির সমাধিস্থলে হামলা চালানো হয়। দুটি ঘটনায় কমপক্ষে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।  জখম  হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী সহ বেশ কয়েকজন।

এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

এদিন সকালে পার্লামেন্টের অধিবেশন চলাকালীন সেখানে ঢুকে পড়ে ৪ বন্দুকবাজ। তাদের হাতে ছিল রাইফেল ও পিস্তল। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। গুলিবিদ্ধ হন ২ নিরাপত্তারক্ষী সহ কয়েকজন। তাদের মধ্যে এক নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়। কয়েকজনকে পণবন্দিও করে ফেলে হামলাকারীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা পাল্টা গুলি চালায়।পরে হামলাকারীরা পার্লামেন্ট চত্বর থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তায় গুলি চালাতে শুরু করে। কিন্তু পুলিশের গুলিতে পিছু হঠে ফের ভেতরে ঢুকে যায় তারা।

এরই মধ্যে দক্ষিণ তেহরানেও হামলার ঘটনা ঘটে।। সেখানে খোমেইনির স্মৃতি সৌধ এলাকায় আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।। এই ঘটনাতে বাগানের এক মালির মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজন জখম হয়েছে। সেখানে এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

সরকারি সূত্রে খবর, পশ্চিমদিকে দরজা গিয়ে গুলি চালাতে চালাতে সমাধিস্থলে ঢুকে পড়ে তিন থেকে চারজন। এক মালির মৃত্যুর পাশাপাশি কয়েকজন আহত হয়।

সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী খোমেইনির সমাধি স্থলে একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে। গুলির লড়াই চলছে বলে জানা গেছে।

শিয়া অধ্যুষিত ইরান ইসলামিক স্টেট সহ সুন্নি জেহাদি গোষ্ঠীগুলির নিশানায় রয়েছে। ইরাকে ও সিরিয়ায় সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সাহায্য করছে ইরান।  যদিও দেশের শহরাঞ্চলগুলি ওই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি হামলায় বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েনি এতদিন। গত মে মাসে আইএস একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইরান দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছেন।

পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া ইরানের দক্ষিণ-পূর্বের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশেও জঙ্গিদের তত্পরতা রয়েছে।