কাবুল: অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। আজ স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর পাঁচটায় মার্শাল ফাহিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির কাছে এই হামলা হয়। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পাশাপাশি গুলি চলারও খবর পাওয়া গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, এই হামলায় দুই সেনার মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন জখম। এক জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। অপর এক জঙ্গি নিজেকে উড়িয়ে দেয়। আরও দুই জঙ্গির সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াই চলছে। নিরাপত্তারক্ষীরা ওই অঞ্চল ঘিরে রেখেছেন। সেখানে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। জঙ্গিদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গ্রেনেড ছিল। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায়স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তির তালিবান ও আইএস-এর দিকে।

ঘটনাস্থলে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই নিরাপত্তারক্ষী বলেছেন, জঙ্গিরা বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্য করে রকেট-চালিত গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। এই হামলা সামাল দিতে গিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়েন।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র জেনারেল দৌলত ওয়াজিরি বলেছেন, ‘কয়েকজন আত্মঘাতী জঙ্গি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই সেনাবাহিনীর একটি দফতরে ঢুকে পড়ে। প্রথমে তারা বিস্ফোরণ ঘটায়, তারপর সেই দফতরে ঢোকে। প্রাথমিকভাবে চারজন আত্মঘাতী জঙ্গি ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে মোট কতজন হামলা চালিয়েছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। নিরাপত্তারক্ষীরা হামলাকারীদের ঘিরে ফেলেছেন।’

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র বশির মুজাহিদ বলেছেন, ‘জঙ্গিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। তারা অন্য জায়গায় হামলা চালায়। জঙ্গিদের মোকাবিলা করার জন্য সেখানে গিয়েছেন কম্যান্ডোরা।’