ভারত থেকে সমর্থন, ভালবাসায় 'আপ্লুত', ভারতীয় মেয়েদের শিক্ষার জন্য কাজ করতে চান মালালা
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
28 Jan 2018 07:11 PM (IST)
NEXT
PREV
দাভোস: ভারত থেকে পাওয়া সমর্থন, ভালবাসায় তিনি আপ্লুত, ভারতে যেতে চান, ইচ্ছা আছে সেখানকার মেয়েদের জন্য কাজ করবেন। জানালেন মালালা ইউসুফজাই, ১৫ বছর বয়সে ফতোয়া অগ্রাহ্য করে স্কুলে যাওয়ায় যাঁকে তালিবানের গুলি খেতে হয়েছিল। প্রাণে বেঁচে যান মালালা শেষ পর্যন্ত। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তির দূতও নিযুক্ত হয়েছেন।
এখানে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে এসেছিলেন মালালা। মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে সহায়তা চাইতে তিনি দেখা করেছেন একাধিক বিশ্ব নেতা, সিইও-র সঙ্গে। মালালা ভারতে আসতে চান তাঁর ছদ্মনামে তৈরি গুলমাকাই নেটওয়ার্কের কাজের পরিধি বাড়ানোর ব্যাপারে। এই সংস্থা মেয়েদের শিক্ষা সম্প্রসারণে জড়িত।
মালালা মনে করেন, ভারত ও পাকিস্তান এককালে একটাই দেশ, একই সংস্কৃতির ধারক ছিল বলে দুজনের সমস্যাগুলি প্রায় একই। ভারত সম্পর্কে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি তিনি। বলেছেন, ভারত থেকে যে ভালবাসা, সমর্থন পেয়েছি, তাতে অভিভূত। ভারতের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারত থেকে আমায় সমর্থন জানিয়ে কত চিঠি আসে। তেমনই একটি চিঠির উল্লেখ করে মালালা জানান, একটি মেয়ে লিখেছিল, সে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চায়, আরও লিখেছিল, একদিন আমরা দুজনেই দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হব, তারপর সমঝোতা করে দুদেশে শান্তি কায়েম করব। এটা দেখে আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায় যে, আগামী প্রজন্ম, বিশেষত মেয়েরা, শুধু পড়াশোনার কথাই ভাবছে না, তারা নেতৃত্বও দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হতে চায়, এটা আমার কাছে ভবিষ্যতের আশার আলো।
ভারতে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মালালা বলেন, আমি এত ভারতীয় সিনেমা, নাটক দেখেছি যে এর মধ্যেই এর মধ্যেই দেশটা সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। ভারতের টিভি চ্যানেলগুলি দেখে আমি হিন্দিও ভাল শিখেছি। নানা দিক থেকে আমাদের মিল আছে, পরস্পরের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। পাকিস্তানের মেয়েদের কথা যেমন ভাবি, তেমনই ভারতীয় মেয়েদের জন্যও আমার ভাবনা হয়।
মালালা বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে গেলে মেয়েদের জন্য চেষ্টা করতেই হবে কেননা ওরাই ভবিষ্যত্। লাখ লাখ মেয়ের শিক্ষার ব্যবস্থা না করলে, ওদের অবহেলা করলে কী করে আমাদের আগামী দিনগুলি আরও ভাল, সুন্দর হবে? মেয়েদের শিক্ষার আয়োজন থাকলে শুধু ওদের ব্যক্তিত্বের বিকাশই হয় না, ওদের ক্ষমতায়ন হয়, ওরা উপার্জনক্ষম হওয়ার সুযোগ পায়।
দাভোস: ভারত থেকে পাওয়া সমর্থন, ভালবাসায় তিনি আপ্লুত, ভারতে যেতে চান, ইচ্ছা আছে সেখানকার মেয়েদের জন্য কাজ করবেন। জানালেন মালালা ইউসুফজাই, ১৫ বছর বয়সে ফতোয়া অগ্রাহ্য করে স্কুলে যাওয়ায় যাঁকে তালিবানের গুলি খেতে হয়েছিল। প্রাণে বেঁচে যান মালালা শেষ পর্যন্ত। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তির দূতও নিযুক্ত হয়েছেন।
এখানে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে এসেছিলেন মালালা। মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে সহায়তা চাইতে তিনি দেখা করেছেন একাধিক বিশ্ব নেতা, সিইও-র সঙ্গে। মালালা ভারতে আসতে চান তাঁর ছদ্মনামে তৈরি গুলমাকাই নেটওয়ার্কের কাজের পরিধি বাড়ানোর ব্যাপারে। এই সংস্থা মেয়েদের শিক্ষা সম্প্রসারণে জড়িত।
মালালা মনে করেন, ভারত ও পাকিস্তান এককালে একটাই দেশ, একই সংস্কৃতির ধারক ছিল বলে দুজনের সমস্যাগুলি প্রায় একই। ভারত সম্পর্কে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি তিনি। বলেছেন, ভারত থেকে যে ভালবাসা, সমর্থন পেয়েছি, তাতে অভিভূত। ভারতের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারত থেকে আমায় সমর্থন জানিয়ে কত চিঠি আসে। তেমনই একটি চিঠির উল্লেখ করে মালালা জানান, একটি মেয়ে লিখেছিল, সে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চায়, আরও লিখেছিল, একদিন আমরা দুজনেই দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হব, তারপর সমঝোতা করে দুদেশে শান্তি কায়েম করব। এটা দেখে আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায় যে, আগামী প্রজন্ম, বিশেষত মেয়েরা, শুধু পড়াশোনার কথাই ভাবছে না, তারা নেতৃত্বও দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি হতে চায়, এটা আমার কাছে ভবিষ্যতের আশার আলো।
ভারতে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে মালালা বলেন, আমি এত ভারতীয় সিনেমা, নাটক দেখেছি যে এর মধ্যেই এর মধ্যেই দেশটা সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। ভারতের টিভি চ্যানেলগুলি দেখে আমি হিন্দিও ভাল শিখেছি। নানা দিক থেকে আমাদের মিল আছে, পরস্পরের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। পাকিস্তানের মেয়েদের কথা যেমন ভাবি, তেমনই ভারতীয় মেয়েদের জন্যও আমার ভাবনা হয়।
মালালা বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে গেলে মেয়েদের জন্য চেষ্টা করতেই হবে কেননা ওরাই ভবিষ্যত্। লাখ লাখ মেয়ের শিক্ষার ব্যবস্থা না করলে, ওদের অবহেলা করলে কী করে আমাদের আগামী দিনগুলি আরও ভাল, সুন্দর হবে? মেয়েদের শিক্ষার আয়োজন থাকলে শুধু ওদের ব্যক্তিত্বের বিকাশই হয় না, ওদের ক্ষমতায়ন হয়, ওরা উপার্জনক্ষম হওয়ার সুযোগ পায়।
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -