লাহোর: পাকিস্তান সরকার আদালতে আবেদন করেছে যাতে হাফিজ সঈদের মিল্লি মুসলিম লিগ (এমএমএল)-কে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া না হয়। ওদের বৈধতা দেওয়া হলে রাজনীতিতে হিংসা, সন্ত্রাস মাথাচাড়া দেবে বলে দাবি তাদের। কিন্তু পাক প্রশাসনের আপত্তি উড়িয়ে লাহোরের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি-১২০ কেন্দ্রের অন্তর্গত এক জায়গায় প্রথম অফিস খুলে বসল ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাথা।
পাক সরকারের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা ও জামাত-উদ-দাওয়াই সৃষ্টি করেছে হাফিজের নতুন দলটিকে। হাফিজ আগেই ঘোষণা করেছে, ২০১৮-র সাধারণ নির্বাচনে সে লড়বে। সেজন্যই এমএমএল খুলে রাজনৈতিক স্বীকৃতি চাইছে সে।
ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এমএমএলের রাজনৈতিক স্বীকৃতির আবেদন বাতিল করেছে। সেই পদক্ষেপকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে হাফিজ। পাল্টা পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওদের রাজনৈতিক স্বীকৃতির দাবি যেন খতিয়ে দেখা না হয়। জেহাদি সংগঠনকে কিছুতেই পাক রাজনীতির মূলস্রোতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তা সত্ত্বেও গতকাল দাতা সাহিব ধর্মস্থান সংলগ্ন মোহনি রোডে হাফিজ স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, অভাব-অভিযোগ শোনে। গোলাপের পাঁপড়ি ছুঁড়ে তাকে অনেকে স্বাগতও জানায়।
ঘটনাচক্রে এনএ-২০০ কেন্দ্রেই চৌবুরজিতে হাফিজের সদর দপ্তর। পানামা পেপার্স কাণ্ডে নওয়াজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর ওই কেন্দ্রে হওয়া পুনর্নির্বাচনে ৬০০০ ভোট পেয়ে চার নম্বর স্থান দখল করে এমএমএল প্রার্থী। তারা জামাত-ই-ইসলামি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মিলিত ভোটের বেশি পায়।