সোল: উৎসবের আবহ বদলে গেল ভয়াবহতায়। দক্ষিণ কোরিয়ায় (South Korea) হ্যালোউইন (Halloween) উপলক্ষে জমায়েতে হুড়োহুড়ি। তাতে পদপিষ্ট (Seoul Stampede) হয়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৪৯ জনের। আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জন।


হ্যালোউইনের জমায়েত হদলে গেল শবের সারিতে


ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় চরম বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খায় দমকলবাহিনী। চাপাচাপি, হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েক জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। সিপিআর দিয়ে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় দমকল আধিকারিক ও কর্মীদের।


স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, পানশালা, রেস্তরাঁ এবং আধুনিক সামগ্রীর দোকান মিলিয়ে জমজমাট পরিবেশ ইটাউন শহরের। করোনা কালে দু’বছরের বিরতির পর এ বারের হ্যালোউইন নিয়ে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। তাই শনিবার সেখানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল।


আরও পড়ুন: Kolkata News: চায়ের আড্ডায় আচমকা হামলা! টিএমসিপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ, দায়ের হল অভিযোগ


কিন্তু রাত বাড়ার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। রাত ১০.৩০টা নাগাদ বেশ কয়েক জন শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান। ঘটনাস্থল থেকে ফোন যেতে থাকে থানায়। মুহূর্তের মধ্যেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা ভোগা মানুষের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে যায়। তাতেই বেরনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একে অপরকে পিষে এগিয়ে যেতে থাকেন সকলে। তাতেই পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। 


কমপক্ষে ১৪৯ জনের মৃত্যু, আহত ১৫০-এর বেশি


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বহু মানুষ রাস্তায় পড়ে কাতরাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় কয়েক জনই প্রথমে তাঁদের সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কাজ না হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একে একে মোট ১৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। প্রথমে দু'জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মুহূর্তের মধ্যে তা বেড়ে ৫৯ হয়ে যায়। রবিবার সকালে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে হয় ১৪৯। আহত ১৫০ জনের মধ্যে অধিকাংশই মেয়ে, বয়স ২০র কোটা পেরোয়নি কারও।


তবে এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, বেআইনি ভাবে অত মানুষ জমায়েত করেন ওই জায়গায়। সব কিছু জেনেও ভিড় সরাতে তৎপর হয়নি পুলিশ। সন্ধে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন বহু মানুষ জন। তাতেও প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। 


এই ঘটনায় মুখপাত্রকে দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল। তিনি বলেন, "সরকারের সব মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় সংস্থা,প্রশাসনিক এবং নিরাপত্তা বিভাগকে এই মুহূর্তে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে আক্রান্তদের সহায়তায়।"