নিউইয়র্ক: হিজাব পরিহিত এক মুসলিম মহিলা বিমানকর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাথি মারার অভিযোগ উঠল এক পুরুষ যাত্রীর বিরুদ্ধে। সঙ্গে হুঙ্কার, এবার ট্রাম্প এসেছে। তোমরা জব্দ হবে। ঘটনাস্থল নিউইয়র্ক।


সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, গত বুধবার জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের লাউঞ্জে নিজের দফতরে ছিলেন রাবিয়া খান নামে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ওই কর্মী। এমন সময়ে রবিন রোডস নামে ৫৭ বছরের এক ব্যক্তি তাঁর ওপর আচমকা চোটপাট নিতে শুরু করেন।


সরকারি আইনজীবীর দাবি, রোডস এসে প্রথমে দরজায় লাথি মারেন। মহিলা যে চেয়ারে বসে ছিলেন, তাতে দরজার ধাক্কা লাগে। এরপরই চিৎকার করে তিনি মহিলাকে প্রশ্ন করেন, আপনি কী করছেন? ঘুমোচ্ছেন না প্রার্থনা করছেন?


রাবিয়া তাঁকে প্রশ্ন করেন, তিনি এমন কী অন্যায় করলেন যে তাঁকে এত কথা শুনতে হচ্ছে? মহিলার দাবি, উত্তরে  রোডস বলেন, তুমি কিছুই করনি,  কিন্তু, আমার ইচ্ছে হচ্ছে তোমাকে লাথি মারতে। এই বলেই রোডস ওই মহিলার পায়ে লাথি মারেন। মহিলা পালাতে গেলে, ওই ব্যক্তি লাথি মেরে দরজা আটকে দেন।


এরপর আরেকজন এসে রোডসকে শান্ত করার চেষ্টা করলে, রাবিয়া সেখান থেকে ছুটে পালান। কিন্তু, রোডস তাঁর পিছু নেন। মহিলার সামনে গিয়ে তিনি মুসলিমদের প্রার্থনার ভঙ্গি করতে করতে চিৎকার করে জানান, ইসলাম, আইসিস শোনো। এখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসেছেন। উনি তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। বাকিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এধরনের মানুষরা কেমন সেটা ফ্রান্স, জার্মানি বা বেলজিয়ামকে প্রশ্ন কর।


ম্যাসাচুশেটসের বাসিন্দা রোডসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মারধর, অবৈধভাবে আটকে রাখা এবং দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে প্রায় ৪ বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে রোডসের। যদিও তাঁর দাবি,  ওই কর্মী পুরুষ না মহিলা তা তিনি বুঝতে পারেননি।