এদিকে মার্কিন মুলুকে ভোটাভুটির ঠিক ১১ দিন আগে এক বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেন এফবিআই ডিরেক্টর। তখন তিনি দাবি করেন, হিলারির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হুমা আবেদিনের প্রাক্তন স্বামীর থেকে ইমেলকাণ্ডের তদন্ত সংক্রান্ত বেশ চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পেয়েছেন। সেসময় কমে দাবি করেন, হিলারি নিজের ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য অপব্যবহার করেছেন। এরপরই এফবিআই সেসময় হিলারির থেকে আসা ও পাঠানো সমস্ত ইমেল-এর তথ্য ভালভাবে খতিয়ে দেখে। তারপরই রবিবার এফবিআই ডিরেক্টর মন্তব্য করেন, ক্লিন্টনের কোনও অপরাধমূলক অভিসন্ধি ছিল না ইমেল পাঠানো ও তথ্য খতিয়ে দেখার বিষয়। কার্যত তিনি অসাবধনাতাবশত নিজের ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে ফেলে ছিলেন।
তবে বিশেষজ্ঞমহলের কাছে পরিষ্কার নয়, ঠিক কি কারণে ভোটাভুটির ঠিক এগারো দিন আগে ইমেলকাণ্ডের তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেও, দুদিন আগে ক্লিন্টনকে সম্পূর্ণ ক্লিনচিট দেওয়া হল।
এদিকে কে বসবেন হোয়াইট হাউসের মসনদে? হিলারিকে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করে আমেরিকা কি নয়া ইতিহাস গড়বে? নাকি সব হিসেব উল্টে দিয়ে ক্ষমতায় আসবেন প্রেসিডেন্ট পদে প্রবীণতম প্রার্থী ট্রাম্প? চলছে জল্পনা।
আগামীকাল মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে গলা মিলিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একাংশ। গান গেয়ে চলেছে প্রচার। কোথাও আবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই প্রচার সেরেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন।
যৌথ জনমত সমীক্ষায় অবশ্য বাজিমাৎ করেছেন হিলারি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও এনবিসি নিউজের যৌথ সমীক্ষায় ট্রাম্পের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। সমীক্ষায় প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিবের ঝুলিতে মোট ভোটের ৪৪ শতাংশ। সেখানে ৪০ শতাংশ রয়েছে ট্রাম্পের পকেটে। প্রচারের সময় ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন অথবা ই-মেল হ্যাক করা নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি। যদিও ভোটের আগে তাঁকে এফবিআই ক্লিনচিট দেওয়ায় এখনই ডেমোক্র্যাট শিবিরে উল্লাসের ছবি।