করাচি: প্রথম হিন্দু দলিত মহিলা হিসেবে পাকিস্তানের আইনসভার উচ্চকক্ষ সেনেটের সদস্য নির্বাচিত হলেন কৃষ্ণা কুমারী কোহলি। সিন্ধ প্রদেশে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে জয় পেয়েছেন ৩৯ বছর বয়সি এই মহিলা। তিনি পাকিস্তান পিপল’স পার্টির (পিপিপি) সদস্য।


১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিন্ধ প্রদেশের থর জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম নগরপার্কারে জন্ম হয় কৃষ্ণার। তাঁর বাবা ছিলেন গরিব কৃষক। কৃষ্ণা যখন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, তখন তাঁদের পরিবারের সবাইকে ব্যক্তিগত কারাগারে বন্দি করেন এক মহাজন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৬ বছর বয়ে কৃষ্ণার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পরেও পড়াশোনা বজায় রেখে ২০১৩ সালে সিন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার ডিগ্রি করেন তিনি। জন্ম থেকেই লড়াই করে চলা এই মহিলা এবার নয়া নজির গড়লেন।

এর আগে পিপিপি-র সদস্য রত্না ভগবানদাস চাওলা পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা হিসেবে সেনেটর নির্বাচিত হন। এবার মহিলা ও সংখ্যালঘুদের জন্য আন্দোলন করা কৃষ্ণাও সেনেটের সদস্য হলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ রূপলু কোলহি স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশরা যখন নগরপার্কারের দিক থেকে সিন্ধ প্রদেশ আক্রমণ করে, তখন তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন রূপলু। যুদ্ধে তাঁদের পরাজয় হয়। রূপলুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮৫৮ সালের ২২ অগাস্ট তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কৃষ্ণাও থর সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনের অধিকারের জন্য লড়াই করছেন।