ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগেই যদি তাঁর মৃত্যু হয়, তাহলে মৃতদেহ তিনদিন ইসলামাবাদের ডি-চকে ঝুলিয়ে রাখা হবে। এমনই রায় দিয়েছে আদালত। দেশদ্রোহিতার দায়ে মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সন্ত্রাস-দমন আদালত। আজ ১৬৭ পাতার রায় প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রায়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গিয়েছে। মুশারফের অবশ্য দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁকে বা তাঁর আইনজীবীকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে দেওয়া হয়নি।


মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ, সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নজর আকবর ও লাহৌর হাইকোর্টের বিচারপতি শাহিদ করিমের বেঞ্চ। রায়ে বলা হয়েছে, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ হল, এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে। আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলিকে আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, পলাতক দোষী সাব্যস্তকে গ্রেফতার করার জন্য সবরকম চেষ্টা করতে হবে। সাজা কার্যকরের আগেই যদি তাঁর মৃত্যু হয়, তাহলে মৃতদেহ ইসলামাবাদের ডি-চকে টেনে নিয়ে আসতে হবে এবং সেখানে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখতে হবে।’

আদালতের এই রায়ে অবশ্য সন্তুষ্ট নয় পাক সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন, ‘প্রাক্তন সেনাপ্রধান, জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, যিনি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের সেবা করেছেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছেন, তিনি নিশ্চিতভাবেই দেশদ্রোহী হতে পারেন না। আইনি প্রক্রিয়ায় বিশেষ আদালতের সংবিধানকে উপেক্ষা করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিচার হয়েছে এবং দ্রুততার সঙ্গে মামলা শেষ করে দেওয়া হয়েছে।’