দি হেগ: অবিলম্বে পাকিস্তানে কুলভূষণ যাদবকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিল করতে হবে। হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে দাবি তুলল ভারত। সেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাদবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও পেশ করেছেন অ্যাটর্নি হরিশ সালভে।


সোমবার আদালতে যাদবের মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানে সালভে জোরালো ভাষায় ভারতের অবস্থান তুলে ধরেন। বলেন, সারা দুনিয়ায় মানবাধিকার মৌলিক অধিকার বলে স্বীকৃত, কিন্তু পাকিস্তান তা জলাঞ্জলি দিয়েছে। ৪৬ বছর বয়সি যাদবের সঙ্গে দেখা করতে ভারতীয় কনস্যুলেটকে অনুমতি দিতে ১৬ বার আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু তা অরণ্যে রোদনে পর্যবসিত হয়েছে। সব কটি আর্জিই প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান, যা ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘনের সামিল। সালভে বলেন, ভারতের আশঙ্কা, তার যুক্তি, বক্তব্যের শুনানি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পাকিস্তান হয়ত যাদবকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে।

বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের, সেজন্যই ভারত আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানান তিনি। সালভে এও বলেন, যাদবের কাছ থেকে পাকিস্তান সেনার হেফাজতে থাকাকালে আদায় করা স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই তাঁকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। যাদবের পক্ষে যথাযথ আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ দিতে হবে ভারতকে।

পাকিস্তান যাদবকে ফাঁসিতে লটকে দিলে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধে দায়ী হবে বলেও অভিমত জানান সালভে।

প্রসঙ্গত, শুনানিতে ভারত, পাকিস্তান দু পক্ষই ৯০ মিনিট করে বলার সুযোগ পাবে।

গত মাসে চরবৃত্তি, অন্তর্ঘাতের অভিযোগে প্রাক্তন ভারতীয় নৌ অফিসার যাদবকে দোষী ঘোষণা করে চরম সাজা দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। গত বছরের ৩ মার্চ পাকিস্তানে গ্রেফতার হন তিনি। গত ৮ মে সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানায় ভারত। পাকিস্তান কনস্যুলেটের সহায়তা দেয়নি যাদবকে. ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়ম ভেঙেছে,  এ কথাই বলে ভারত। পরদিনই সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় হেগের আদালত।

আন্তর্জাতিক আদালতে পেশ করা আবেদনে ভারত সওয়াল করে,  নৌবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ইরানে ব্যবসা করছিলেন যাদব,  সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করে পাকিস্তান। ভারত একইসঙ্গে যাদবের নৌবাহিনীতে কাজ করার কথা মানলেও তাঁর সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্কই নেই, সোজাসুজি জানিয়ে দেয়।