ইসলামাবাদ: ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ ক্ষমতা দখলের পথে। ১১৯টি আসন পেয়েছে তারা। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬০টি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৪০টি আসন পেয়েছে। ৩৪২ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সরকার গড়ার জন্য কোনও দলের ২৭২টি আসন দরকার। আবার কোনও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গড়তে চাইলে তাদের অন্তত ১৩৭টি আসন পেতে হবে। দু’টি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ইমরানের দল। তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান নির্বাচনে জয় পাওয়ার দাবি করেছেন। তিনি ফল প্রকাশের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুলে বলেছেন, ‘২২ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে ঈশ্বর আমাকে দু’দশক আগের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার সুযোগ দিয়েছেন। আজ আমরা অন্য দেশগুলির তুলনায় পিছিয়ে আছি। কারণ, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি এবং সাধারণ মানুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে।’
সাংবাদিক বৈঠকে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘‘হিন্দুস্তান’ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরি হতে পারে, তবে দু দেশের মধ্যে বিরোধের মূল বিষয় ‘কাশ্মীর’। এর মীমাংসা করা প্রয়োজন। একে অপরকে দোষারোপ বন্ধ হওয়া উচিত। উপমহাদেশের ক্ষতি হচ্ছে এতে। ভারতের নেতারা চাইলে পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে তৈরি। নয়াদিল্লি এক কদম এগোলে, আমরাও দু পা এগোব। তবে একটা সূচনা অন্তত হোক। পাকিস্তানের বালুচিস্তানে খারাপ কিছু হলেই সেজন্য ভারতকে দায়ী করা এবং উল্টোটা, অর্থাৎ ভারতে অনভিপ্রেত কিছু ঘটলে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তোলা, দুটোই আমাদের একই জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয়। এভাবে এগিয়ে চলা যায় না।’
ইমরান এও বলেন, ‘ভারতীয় মিডিয়া আমায় দেখাচ্ছে কোনও বলিউডি ছবির ভিলেন হিসাবে। কিন্তু আমি জানাচ্ছি, আমি হলাম সেই পাকিস্তানি যে অন্য যে কারও চেয়ে একটা বড় অংশের ভারতবাসীর কাছে বেশি পরিচিত ক্রিকেটের দৌলতে।’
ইমরান জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকবেন না, গভর্নরদের বাসভবনগুলিতে হোটেল বানাবেন।
ইমরান বলেন, ‘আমরা এমন প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি করতে চাই যা দেশের শাসন ব্যবস্থাকে নির্ভূল করে তুলবে, নয়তো আমাদের নিজেদের চ্যালেঞ্জগুলি জিততে পারব না আমরা। অর্থনীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি অবশ্য নির্বাচনে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ করছে। পিএমএল-এন প্রধান শাহবাজ শরিফ দাবি করেছেন, ‘পিপিপি সহ বেশ কয়েকটি দল নির্বাচনে রিগিংয়ের অভিযোগ করেছে। কয়েকটি দল আবার অভিযোগ করেছে, তাদের পোলিং এজেন্টদের বার করে দেওয়া হয়েছিল অথবা ভোটকর্মীদের ঘোষণা করা ফল দেখতে দেওয়া হয়নি। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের কথা জানাব। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করব।’
পিপিপি নেতা বিলাবল ভুট্টোও নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা পরেও নির্বাচন কমিশন আমাকে আইয়ারি ও লারকানার ফল জানাতে পারল না। গোলযোগ বা দেরি হওয়ার কোনও ব্যাখ্যাও দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।’
পাকিস্তানের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার মহম্মদ রাজা খান অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নতুন সিস্টেম চালু করার ফলেই ফল ঘোষণায় দেরি হচ্ছে।আমরা প্রমাণ করে দেব, নিজেদের কাজটা ভালভাবেই করেছি।’
১১৯টি আসন পেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে ক্ষমতা দখলের পথে ইমরান খান, রিগিংয়ের অভিযোগ বিরোধীদের
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
26 Jul 2018 06:28 PM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -