ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হলেন ইমরান খান। বিরোধী শিবিরের ফাটলের জেরে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রী পদে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী শাহবাজ শরিফকে ভোটে হারিয়ে দিলেন তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রতিষ্ঠাতা।
১৫-তম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের নির্বাচন একপ্রকার সুনিশ্চিত, নিয়মরক্ষার ব্যাপারে হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ভোটদানে বিরত থাকায়। বেনজির পুত্র বিলাবল ভুট্টো নেতৃত্বাধীন পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে গত মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে। জামাত-ই-ইসলামিও ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেননি।
৬৫ বছরের ইমরান ভোটাভুটিতে ১৭৬টি ভোট পান, শাহবাজ পান ৯৬টি ভোট।
আগামীকাল ২২-তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ইমরান। ৩৪২ সদস্যবিশিষ্ট পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ১৭২টি ভোটের। হেসেখেলে তাতে উতরে গেলেন ইমরান।

এদিন ইমরানের বিরুদ্ধে জোট বাঁধার শেষ চেষ্টা হিসাবে শাহবাজের পক্ষে ভোট দিতে পিপিপিকে রাজি করানোর জন্য পিএমএল-এন এর এক শীর্ষনেতা বিলাবলের আসনে গিয়েও কথা বলেন, ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আবেদন করেন। এমনকী বিলাবলের সঙ্গে কথা বলেন শাহবাজও। তবে সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন বিলাবল। জেলবন্দি নওয়াজ শরিফের পরিবর্তে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা শাহবাজ। নওয়াজ দুর্নীতির অভিযোগের জেরে সরকারি পদ, দলের নেতৃত্বও হারিয়েছেন।

ইমরানের পক্ষে আজ ভোট দেয় মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (৭টি আসন), বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টি (৫টি আসন), বালুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (৪টি আসন), পাকিস্তান মুসলিম লিগ (৩টি আসন), মহাজোট (৩টি আসন), আওয়ামি মুসলিম লিগ (১টি) ও জামুরি ওয়াতন পার্টি (১টি) র মতো ছোট ছোট দলগুলি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইমরানের দলের মনোনীত প্রার্থীরা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচনেও যথাক্রমে ১৭৬ ও ১৮৩টি ভোট পান।
গত ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে ১১৬টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হয় ইমরানের পার্টি। ৯ জন জয়ী নির্দল প্রার্থীর যোগদানে তাদের শক্তি বেড়ে হয় ১২৫। এরপর মহিলা সংরক্ষিত ৬০টির মধ্যে ২৮টি তাদের বরাদ্দ করা হয়। সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ ১০টির মধ্যে ৫টি তাদের দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তাদের শক্তি হয় ১৫৮।