বেচারা! পাকিস্তানে ১১৮ বছর ধরে গ্রেফতার এই বটগাছটি
ABP Ananda, web desk | 02 Sep 2016 05:20 AM (IST)
নয়াদিল্লি: কথায় আছে লঘু পাপে গুরু দণ্ড। কিন্তু বিন্দুমাত্র অপরাধ না থাকা সত্ত্বেও যে ১১৮ বছর ধরে খেসারত দেওয়ানো যায়, তারই নজির তৈরি করেছে পাকিস্তান। আশার কথা একটাই, শাস্তি দেওয়া হয়েছে কোনও মানুষকে নয়, একটি গাছকে। হ্যাঁ, পাকিস্তানের পেশোয়ারে ১১৮ বছর ধরে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে একটি বটগাছকে। ১৮৯৮-এ লান্ডি কোটাল সেনা ক্যান্টনমেন্টে এই গাছটিকে গ্রেফতার করা হয়। কোনও বিচার ছাড়াই তখন থেকে বন্দি রয়েছে সে। ওই ক্যান্টনমেন্টে এক ব্রিটিশ সেনা অফিসার নাকি নেশার ঘোরে হাঁটার সময় দেখতে পান, বটগাছটি তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। ব্যস, সান্ত্রীকে দেখে হুকুম দেন, অ্যারেস্ট কর লো উসে। পেয়াদারাও ছুট্টে এসে আষ্টেপৃষ্টে শেকল পরিয়ে দেয়। তখন থেকেই শেকলে বাঁধা রয়েছে বেচারা বটগাছ। দেশ স্বাধীন হল, দু’ভাগ হল, ‘৭১-এ আবার পাকিস্তান ভাগ হল, সেনা শাসন এল, গেল- তার ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হল না। এতদিন পর এখনও ওই বটগাছে বোর্ড ঝুলছে, তাতে লেখা ‘আই অ্যাম আন্ডার অ্যারেস্ট’। পাকিস্তানের শাসকরা বোধহয় এখনও মনে করেন, বাঁধন খুলে দিলে চম্পট দিতে পারে সে। তাই বেঁধেছেঁদে রাখাই সুবিধেজনক। কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেন, পাক- আফগান সীমান্তের লান্ডি কোটালের উপজাতি সম্প্রদায়কে ঘুরিয়ে সমঝে দিতেই বটগাছকে গ্রেফতার করার অভিনব নির্দেশ দেয় ব্রিটিশরাজ, যাতে উপজাতিরা বুঝতে পারে, দরকারে এমন শাস্তি তাদেরও দেওয়া হবে। তা যদি হয়েও থাকে, তাহলেও এখনও গাছটিকে কোন উদ্দেশ্যসাধনে বেঁধে রাখা হয়েছে, তার কোনও উত্তর নেই।