পাকিস্তানের বক্তব্য স্রেফ বাগাড়ম্বর, কোনও আসল তথ্য নেই, বিন্দুমাত্র ন্যয্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, যাদবের বিচার অবৈধ ঘোষণা হোক, আন্তর্জাতিক আদালতে দাবি ভারতের
Web Desk, ABP Ananda | 18 Feb 2019 09:29 PM (IST)
দি হেগ: পাকিস্তানের সামরিক আদালতে ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবের বিচারে বিন্দুমাত্র ন্যয্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে সওয়াল করে তাকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানাল ভারত। এই বিচার ন্যূনতম বৈধ প্রক্রিয়ার ধারেকাছে যেতে চূড়ান্ত ব্যর্থ বলে সওয়াল করা হয় ভারতের তরফে। সোমবার এখানে যাদবের ইস্যু নিয়ে চারদিনের জনশুনানি শুরু হয়েছে দি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে। চরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পাক আদালত। কনস্যুলেটকে দেখা করতে দেওয়া সংক্রান্ত ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া, মূলত এই দুটি ইস্যুতেই সওয়াল করেন ভারতের প্রতিনিধি প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে। তিনি বলেন, এটা এক দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। এক নিরপরাধ ভারতীয়ের জীবন বিপন্ন। পাকিস্তান যেভাবে ভারতীয় কনস্যুলেটকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ না দিয়ে যাদবকে লাগাতার নিজের হেফাজতে রেখে দিয়েছে, তা বেআইনি ঘোষণা করা উচিত বলে সওয়াল করে সালভে বলেন, পাকিস্তানের বক্তব্য স্রেফ বাগাড়ম্বরে ভরা, কোনও আসল তথ্য নেই তাতে। কোনওরকম সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে তাঁর জড়িত থাকার দাবির সমর্থনে কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাকিস্তান দিতে পারেনি। তাছাড়া যাদব নিজের জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটাও জোর করে আদায় করা হয়েছে বলে স্পষ্ট মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনও সংশয়ই নেই যে, পাকিস্তান স্বীকারোক্তিকে প্রোপাগান্ডার হাতিয়ার করেছে, ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। বিন্দুমাত্র দেরি না করে কনস্যুলেটকে দেখা করতে দিতে পাকিস্তান বাধ্য। ভারত কনস্যুলেটকে যাদবের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার কথা ১৩ বার মনে করিয়ে দিলেও আজ পর্যন্ত পাকিস্তান এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি, তা মানেনি বলে অভিযোগ করেন সালভে। পাকিস্তানের দাবি, ২০১৬-র ৩ মার্চ অশান্ত বালুচিস্তানে ধরা পড়েন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার যাদব। তিনি ইরান থেকে সেখানে ঢুকেছিলেন। পাল্টা ভারতের দাবি, তাঁকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়। সেখানে ব্যবসার কাজে যেতেন তিনি।