গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত পায়। সেখানে দাবি করা হয়, ভারতের হাতে ২ হাজারের বেশি পরমাণু বোমা তৈরীর মশলা রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানের ন্যাশনাল কম্যান্ড সিকিউরিটি-র একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এই মর্মে একটি রিপোর্টও পেশ করা হয়।
পাকিস্তানের সংবাদপত্রের এই দাবিকে অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন এলিজাবেথ হুইটফিল্ড নামের এই মার্কিন বিজ্ঞানী। বুলেটিন অফ দি অ্যাটমিক সায়েন্টিস্ট শীর্ষক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে তিনি জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান বলছে ভারতের হাতে ২ হাজার পরমাণু বোমা থাকতেই পারে না।
নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ওই বিজ্ঞানী যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, অসামরিক জ্বালানিতে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়ামকে ব্যবহার করার সম্ভাবনাকে যদি সরিয়ে রাখা হয়, তাহলে পাক পরমাণু বিজ্ঞানী মনসুর আহমেদের করা ২ হাজার পরমাণু বোমার হিসেব এক লপ্তে কমে দাঁড়াবে ৮৪৪।
এরপর, যদি জ্বালানির জন্য রাখা অব্যবহৃত প্লুটোনিয়ামকেও হিসেব থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ভারতের হাতে থাকা পরমাণু অস্ত্র-সম্ভারের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২১৯। তিনি যোগ করেন, এখানে মনে রাখতে হবে, যে এরমধ্যে বেশ কিছু প্লুটোনিয়াম ভারত পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে বা জ্বালানির অবশেষ হিসেবে বাতিল করা হয়েছে।
ফলে, সব হিসেব মেলালে, ভারতের হাতে ১০০টির মতো পরমাণু অস্ত্র তৈরী করার মতো মশলা রয়েছে।