ইসলামাবাদ: কাশ্মীর নিয়ে সুর চড়িয়ে ভারতকে আক্রমণ নওয়াজ শরিফের। কাশ্মীর দখল করা ভূখণ্ড, দাবি করে সেখানে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেন শরিফ। গোটা দুনিয়ার কাছে এটা উদ্বেগ, শঙ্কার ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এদিন তাঁর বার্তায় কাশ্মীর ভারতের ঘরোয়া বিষয় নয় বলে অভিমত জানিয়ে কাশ্মীরীদের অধিকারকে মর্যাদা দিতে ভারতকে সেখানে গণভোট করতে বলেন শরিফ।


 

কাশ্মীর সমস্যার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে, কাশ্মীরীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আগের ঘোষণা মতোই আজ ‘কালা দিবস’ পালিত হচ্ছে পাকিস্তানে। কাশ্মীরীদের ‘কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, নীতিগত সমর্থন’ দিতে পাকিস্তান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চলছে মিছিল, সভা-সমিতি। ফেডারেল, সব প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রীরা হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধেছেন। পাশাপাশি হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণেও চলছে বিশেষ প্রার্থনা।

 

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সক্রিয় হতে আগেই সংশ্লিষ্ট সব দফতর, মহলকে নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বার্তায় তিনি বলেন, আমরা আজ কাশ্মীরীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে কালা দিবস উদযাপন করছি। গোটা বিশ্বকে জোরালো বার্তা দিতে চাই যে, পাকিস্তানিরা কাশ্মীরীদের অধিকার অর্জনের লড়াইয়ে পাশে রয়েছে। বলপ্রয়োগ করে কাশ্মীরীদের কণ্ঠস্বর দমন করতে পারবে না ভারত। ওরা স্বাধীনতা আদায় করেই ছাড়বে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ কাশ্মীরকে বিতর্কিত ভূখণ্ড বলেছে। সুতরাং কাশ্মীরীদের সম্মান দেখিয়ে গণভোটের আয়োজন করতে হবে ভারতকে। কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে দেখানো উচিত নয়।

শরিফের পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘেও কাশ্মীর নিয়ে সক্রিয় সেখানে নিযুক্ত পাক দূত মালিহা লোধী। তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে কাশ্মীর ইস্যু তুলেছেন। কাশ্মীরে মৌলিক মানবাধিকার নির্মমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে তাঁদের কাছে অভিযোগ করেছেন মালিহা। কাশ্মীরের ‘উদ্বেগজনক পরিস্থিতি’র প্রতি পাকিস্তানের গভীর আশঙ্কা জানিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর বৈদেশিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা সরতাজ আজিজের লেখা চিঠিও তিনি তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব বান কি মুন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের হাতে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলেও এক কাশ্মীরী যুব নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তাছাড়া এক বিবৃতিতেও মালিহা বলেছেন, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চেয়ে আন্দোলন, সংগ্রামে নামা কাশ্মীরীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলা সত্যের অপলাপ। এতে কাশ্মীরীদের ক্ষোভ, অসন্তোষ বাড়বে।