ওয়াশিংটন: হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেলের ওপর চড়া আমদানি শুল্ক নিয়ে দিনকয়েক আগেই ভারতের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ভারতকে ব্যবসা, বাণিজ্যের পথে শুল্ক ও শুল্ক-বহির্ভূত বাধা কমাতে আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে বলে জানিয়ে দিল আমেরিকা।


ট্রাম্পের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, শুল্ক ও শুল্ক-বহির্ভূত বাধাগুলি কেটে গেলে খদ্দেররা কম দামে পণ্য কিনতে পারবেন, ভারতে ভ্যালু চেইনসের উন্নতি হবে। ভারতের নানা ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগী হয়ে ওঠার লক্ষ্য পূরণেও সুবিধা হবে। সুতরাং ভারতের শুল্ক ও শুল্ক ছাড়াও অন্যান্য বাধা কমানোর জন্য আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। প্রেসিডেন্ট ভারত সমেত আমাদের বাণিজ্য শরিকদের সঙ্গে ন্যায্য লেনদেন, আদানপ্রদান বাড়ানোর পক্ষপাতী। ভারত-মার্কিন আর্থিক বোঝাপড়া, সম্পর্কের পূর্ণ বিকাশ হওয়ার পথে বাধাগুলি দূর করার প্রয়াস চালিয়ে যাব আমরা।

প্রসঙ্গত, ইস্পাত শিল্প নিয়ে কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে আলোচনার মধ্যেই ট্রাম্প আমেরিকায় ভারতে তৈরি মোটরসাইকেলের আমদানি ওপর চড়া শুল্ক বসানোর হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, আমেরিকা মোটরসাইকেল আমদানির ওপর জিরো ট্যাক্স ধার্য করে অর্থাত্ কোনও করই চাপায় না। পাল্টা একই পথে হাঁটা উচিত ভারতেরও। সম্প্রতি ভারত শুল্ক হার ৭৫ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিলেও তা যথেষ্ট নয়।

যদিও মার্কিন সংবাদপত্র দি ওয়াশিংটন পোস্ট হার্লে ডেভিডসন প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি বছর বিক্রি হওয়া সাড়ে চার হাজার হার্লে-ডেভিডসন বাইকের বেশিরভাগই ভারতেই অ্যাসেম্বল অর্থাত যন্ত্রাংশ জুড়ে ব্যবহারের উপযোগী করা হয়। যার অর্থ ক্রেতাকে চড়া শুল্ক ভার বহন করতে হয় না। উল্টোদিকে ভারত থেকে আমেরিকায় খুব কম সংখ্যায় মোটরসাইকেল আমদানি করা হয়। মার্কিন সংবাদপত্রটি এক রিপোর্টে বলেছে, আমেরিকায় রপ্তানি করা সামগ্রীর ব্যাপারে যে পরিসংখ্যান সম্প্রতি ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক দিয়েছে, তাতে মোটরসাইকেলের উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি!