হিউস্টন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হওয়া তিন বছরের ভারতীয় শিশু শিরিন ম্যাথুজের দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার আগেই পোকা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ খেয়ে ফেলেছিল বলে জানালেন চিকিৎসক এলিজাবেথ ভেন্তুরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, শিরিনের দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এতটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল সেটা বোঝা সম্ভব হয়নি।


২০১৬ সালে বিহারের একটি অনাথ আশ্রম থেকে শিরিনকে দত্তক নেন কেরলের বাসিন্দা ওয়েসলি ম্যাথুজ ও তাঁর স্ত্রী সিনি ম্যাথুজ। এরপর তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চলে যান। ২০১৭ সালে শিরিনের মৃত্যু হয়। প্রথমে ওয়েসলি দাবি করেন, দুধ না খাওয়ার শাস্তি হিসেবে তিনি ভোর তিনটেয় শিরিনকে বাড়ির বাইরে একটি গাছের নীচে দাঁড় করিয়ে দেন। ১৫ মিনিট পরে সেখানে গিয়ে দেখেন শিরিন নেই। দু’সপ্তাহ পরে যখন একটি সাঁকোর নীচ থেকে শিরিনের দেহ টেনে বের করে একটি কুকর, তখন ওয়েসলি বয়ান বদল করে বলেন, তিনি নিজেই শিরিনকে দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। সেই দুধ তার গলায় আটকে যায়।

ডালাসের আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। ওয়েসলি আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, কোনওভাবেই গলায় দুধ আটকে শিরিনের মৃত্যু হয়নি। তাঁর সন্দেহ শিরিনকে খুন করা হয়েছে। তার শরীরের পাঁচটি হাড় ভাঙা ছিল। শিশুটির উপর অত্যাচার করা হত বলেই সন্দেহ তদন্তকারীদের।