প্রসঙ্গত, পাক সামরিক আদালতে বিচার করে হামিদকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজা শুরু হয় ২০১৫-র ১৫ ডিসেম্বর, সামনের বছর ১৪ ডিসেম্বর শেষ হবে। গত বছর পেশোয়ারের সেন্ট্রাল জেলে অন্য বন্দিদের মারে জখম হন মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই যুবক।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, আইআইএমের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হামিদের খাইবার পাখতুনখাওয়ার কোহাটের এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ফেসবুকে। মেয়েটি নিজের নিরাপত্তা, অধিকার বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করায় তিনি তাঁকে বাঁচাতে উদ্যোগী হন। পাকিস্তান যাওয়ার ভিসা না পেয়ে বিমানে আফগানিস্তান গিয়ে সেখান থেকে বৈধ নথি ছাড়াই পাকিস্তানে ঢোকেন। ২০১২-র ১৪ নভেম্বর কোহাটের এক হোটেল থেকে তিনি গ্রেফতার হন।
এক পাক মানবাধিকার কর্মীর বক্তব্য, গত ৫ বছর ধরে তিনি পাক কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি। পাকিস্তানে বেআইনি অনুপ্রবেশ নয়, চরবৃত্তির দায়ে তিন বছরের জেল হয় তাঁর। ঠিকই, উনি একটা অন্যায় করেছেন, কিন্তু বিপদে পড়া এক মহিলাকে প্রেম-ভালবাসা থেকে সাহায্য করাই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। এজন্য তাঁর রেহাই পাওয়া উচিত। এমনিতেই উনি অনেক ভুগেছেন।