নিউ ইয়র্ক: হেট ক্রাইমের জেরে কানসাসে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোটলা খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মার্কিন মুলুকে নিহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে সাউথ ক্যারোলিনার ল্যাঙ্কাস্টার কাউন্টিতে নিজের বাড়ির সামনে গুলিতে প্রাণ হারান ৪৩ বছর বয়সি হার্নিস পটেল। দি হেরাল্ড-এর খবর, বাড়ি থেকে প্রায় ৬ কিমি দূরে হার্নিসের স্টোর। দোকান বন্ধ করে মিনিভ্যান চালিয়ে বাড়ির কাছে আসতেই তিনি ঘাতকের হাতে আক্রান্ত হন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। পরে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেহে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পটেলকে মৃত অবস্থায় মধ্যরাত হওয়ার কয়েক মিনিট আগে পাওয়া যায়। দশ মিনিটও হয়নি, দোকান বন্ধ করেছিলেন তিনি। স্থানীয় লোকজনই ৯১১ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে জানান, গুলির শব্দ, আর্তনাদ শুনেছেন তাঁরা।
ঘটনার পিছনে অবশ্য জাতিবিদ্বেষের ছায়া দেখছেন না শেরিফ বেরি ফেলি। তিনি বলেছেন, পটেলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিচিতি এক্ষেত্রে কোনও কারণ বলে মনে হচ্ছে না।
পটেলের মৃত্যুতে শোকাবিষ্ট পরিবার, আত্মীয়স্বজন, খদ্দেররাও। পটেলের বাড়ি গিয়ে শ্রদ্ধা, শোক জানাচ্ছেন তাঁরা। হতবাক সকলেই। একজন বলেছেন, প্রত্যেকেরই ভাল বন্ধু ছিলেন তিনি। যে-ই এমন করে থাকুুক, কেন করল ওঁর সঙ্গে? মারিও স্যাডলার নামে এক কাস্টমার কাম বন্ধু স্মৃতিচারণায় বলেন, পটেল তাঁকে কাজের অফার দিয়েছিলেন, বিপদে আপদে পাশে দাঁড়াতে যা যা করণীয় করেছেন।

৩২ বছরের কুচিভোটলা, তাঁর বন্ধু অলোক মাদাসানিকে নিশানা করে কানসাসের বারে গুলি চালায় ৫১ বছর বয়সি অবসর নেওয়া মার্কিন নৌ জওয়ান অ্যাডাম পুরিনটন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আমার দেশ থেকে দূর হও। গুলিতে প্রাণ হারান কুচিভোটলা।
গত মাসের ঘটনাটি আমেরিকার ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্কের স্রোত বইয়ে দিয়েছে। ঘৃণা, বিদ্বেষের আবহাওয়ায় আমেরিকা কতখানি নিরাপদ, এহেন আশঙ্কা জানাচ্ছেন তাঁরা। যদিও খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানসাসের ঘটনার কঠোর নিন্দা করে যাবতীয় সন্ত্রাস, হিংসার বিরুদ্ধে আমেরিকা একজোট বলে জানিয়ে দিয়েছেন।