লন্ডন: ব্রিটেনের সবচেয়ে সিনিয়র রাজনীতিকদের অন্যতম বীরেন্দ্র শর্মা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাব পেশ করে দাবি করলেন, ১৯১৯ সালে ইংরেজ শাসিত ভারতে জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার জন্য ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।


এপর্যন্ত ৫ জন ব্রিটিশ এমপি-র সইও তিনি নিয়েছেন '১৯১৯-এর জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যা' শিরোনামের প্রস্তাবে।

ইলিং সাউথহলের এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির এমপি তাঁর 'আর্লি ডে মোশন' -এ বলেন, ভারতে ব্রিটিশ শাসনের গুরুত্বপূর্ণ মূহূর্ত এটি। অনেকে বলে থাকেন, এটা ছিল শেষের সূচনা, যা শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের শক্তিবৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। অবশ্যই এর উদযাপন হওয়া উচিত। ব্রিটিশ সরকারকে এই বর্বরোচিত আচরণের স্পষ্ট নিন্দা করতে হবে।

জালিয়ানওয়ালাবাগে তত্কালীন কর্নেল ডায়ারের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান বাহিনী স্বাধীনতাকামী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে বহু মানুষ নিহত হন।

বীরেন্দ্র প্রস্তাবে বলেছেন, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ভারতে সফরে গিয়ে ওই গণহত্যাকে 'চরম লজ্জার' বলেছিলেন। ওই ঘটনার শতবর্ষ আসছে, তাই তার স্মরণ, উদযাপন করা উচিত। হাউস অব কমন্সও ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাসে মোড় ঘোরানোর পর্ব হিসাবে ওই গণহত্যার গুরুত্ব স্বীকার করুক।

পাশাপাশি তাঁর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ শিশুদের এই কলঙ্কের অধ্যায় সম্পর্কে পড়ানো হোক, বোঝানো হোক যে, আধুনিক ব্রিটিশ মূল্যবোধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার স্বীকার করা হয়।
হাউসে সরকারকে ওই গুলিচালনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তা উদযাপনে একটি দিন বেঁধে দেওয়ারও দাবি করেছেন বীরেন্দ্র।