বুধবার রাতে ওই গুলি চালানোর ঘটনায় নিহত ভারতীয় ৩২ বছরের শ্রীনিবাস কুঞ্চুভোল্টা ওলাঠে জার্মিন হেডকোয়ার্টারে কাজ করতেন। এই ঘটনায় দুই আহতের মধ্যে রয়েছেন এক ভারতীয়ও। তিনি শ্রীনিবাসের সহকর্মী অলোক মাদাসানি। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁর চিকিত্সা চলছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আহত দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম ইয়ান গ্রিলোট।
ঘটনার পাঁচ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত ৫১ বছরের অ্যাডাম পুরিনটনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওলাঠে-র পুলিশ প্রধান স্টিভেন মেনকে ওই ঘটনাকে মর্মান্তিক ও মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতীয়দের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর আগে অভিযুক্তকে ‘আমাদের দেশ থেকে বেরোও’ বলে চিত্কার করতে শোনা গিয়েছে। অভিযুক্ত মার্কিন নৌবাহিনীর প্রাক্তন কর্মী। গুলি চালানোর পর সে মিসৌরির ক্নিন্টনে গা-ঢাকা দিয়েছিল। সেখানে পুরিনটন এক খাবারের দোকানের কর্মীকে বলে, সে দুজন মধ্য-প্রাচ্যের লোককে মেরেছে।
ভারতীয়দের ওপর এই হামলার পরই তত্পর হয়ে ওঠে ভারতীয় দূতাবাস। আক্রান্তদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য হাউস্টন কনসুলেটের দুই আধিকারিককে কানসাসে পাঠানো হয়।
জার্মিন জানিয়েছে, শ্রীনিবাস, অলোক সংস্থার অ্যাভিয়েশন সিস্টেমে কাজ করতেন। গত বুধবারের ঘটনায় সংস্থার পক্ষ থেকে গভীর শোক ও মর্মবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই বিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনায় সারা আমেরিকাতেই ইন্দো-মার্কিন ও ভারতীয় সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করে তুলেছে।