মিশিগানে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ইনফোসিস কর্মী নাগরাজু সুরেপল্লী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নাগরাজুর ছোট্ট ছেলে অনন্ত সাই সুইমিং পুলের ধারে ট্রাইসাইকেল চালাছিল। আচমকাই সে স্লিপ করে পুলে পড়ে যায়। ছেলেকে বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দেন বাবা। কিন্তু যেহেতু তিনিও সাঁতার জানতেন না, তার ফলে দুজনেই জলে ডুবে যান। পরে এক দম্পতি সুইমিং পুলে দুজনের দেহ ভেসে উঠতে দেখেন। এরপর তাঁরাই পুলিশে খবর দেন, এবং প্রকাশ্যে আসে এই দুঃখজনক ঘটনাটি।
স্থানীয় পুলিশ অফিসার ডেভিড ম্যালয় জানিয়েছেন, সেখানে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন বাবা-ছেলের সাঁতার কাটার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। তাঁরা কার্যত পুলের ধারে বসে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করবেই ভেবেছিলেন। কিন্তু আচমকাই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।
সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে ৩১ বছর বয়সি নাগরাজু, তাঁর স্ত্রী এবং মাকে নিয়ে ওয়ার্ক ভিসায় গত তিন বছর ধরে মিশিগানেই রয়েছেন। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় কার্যত দিশেহারা সুরেপল্লী পরিবার। তাই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নাগরাজুর সহকর্মী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ফেসবুকে একটি ক্রাউডফান্ডিং পেজ খুলেছেন। এখানে থেকে যা টাকা উঠবে সেই দিয়েই দেহ পাঠানো হবে অন্ধ্রপ্রদেশে এবং এখানেই সম্পন্ন করা হবে নাগরাজু ও তাঁর সন্তানের শেষকৃত্য।
ওই ক্রাউডফান্ডিং পেজে নাগরাজুকে তাঁর বন্ধুরা একজন হাসিখুশি, সত্, বন্ধুত্বপরায়ণ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। দুদিন আগে খোলা ওই পেজের সাহায্যে এখনও পর্যন্ত ১৫১, ৬৩০ ডলার উঠেছে। প্রসঙ্গত, মার্কিন মুলুক থেকে ভারতে দেহ নিয়ে আসা ভীষণই খরচসাপেক্ষ। এছাড়া শেষকৃত্যের জন্যেও প্রচুর টাকা লাগবে। সংগ্রহ করা টাকা এই সমস্ত কাজেই লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন নাগরাজুর বন্ধুরা।