বেজিং: ভারত যেভাবে চিন সীমান্তে ‘উসকানিমূলক পদক্ষেপ’ করছে তাতে দুদেশের পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া। বেজিংয়ে সেন্টার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক স্টাডিজের প্রধান ঝাও গ্যানচেং এই অভিযোগ করলেন।


ডোকলামের মত ঘটনা রুখতে দিল্লি এবার ভারত, চিন ও মায়ানমার সীমান্তের সংযোগস্থলে সৈন্যসংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই পদক্ষেপকে উসকানি বলে অভিযোগ করেছেন ঝাও। তাঁর দাবি, এর ফলে ভারত-চিন পারস্পরিক বোঝাপড়া ধ্বংস হয়ে যাবে। তাঁর বক্তব্য, ভারত সব সময় সীমান্তে সেনা বাড়াতে থাকে কারণ তারা মনে করে না, সীমান্ত এলাকা শান্তিপূর্ণও হতে পারে। সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে একদিন না একদিন সংঘর্ষ হবে বলে বিশ্বাস করে তারা।

আর এই অবিশ্বাসের ফলে ভারত-চিন কূটনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়- সব দিকই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তাঁর দাবি।

ভারত অবশ্য বলেছে, তিব্বতের কাছে ভারতের সর্বাধিক পূর্বের সীমান্ত ওয়ালং থেকে তিন দেশের ওই সীমান্ত এলাকা মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মত দূরে। আশপাশের পাহাড়ি রাস্তা ও অন্যান্য এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখার জন্য ওই এলাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, সীমান্ত এলাকাটিতে চিনা সেনা নিয়মিত আসে এমন নয়। কিন্তু কাছাকাছি রাস্তা তৈরি করেছে তারা, ফলে দরকারে সেনা আনতে সুবিধে হবে।