বেজিং: কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তির প্রচারে চিনের চেয়ে ভাল কাজ করেছে ভারত। এমনটাই মনে করছেন সেদেশের বিশেষজ্ঞরা।


সাংহাই ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার ফর মাইক্রোস্যাটেলাইট-এর নব্য প্রযুক্তি দফতরের অধিকর্তা জ্যাং ইয়ংহে জানিয়েছেন, ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, স্বল্প খরচে কী করে বাণিজ্যিক উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে হয়।


তাঁর মতে, এই ক্ষেত্রে ভারত চিনের থেকে দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছে। এখন বেজিংকে নিজেদের বাণিজ্যিক মহাকাশযান ও উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।


চিনের সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রথমে ভারত প্রথম মঙ্গলে সফল অভিযান করল। এখন রেকর্ড সংখ্যক উপগ্রহ একসঙ্গে মহাকাশে পাঠাল।


রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৪ সালে ভারত প্রথমবারেই সফল মঙ্গল অভিযান করেছে। সেখানে ২০১২ সালে চিনের অভিযান ব্যর্থ হয়। এরপর একসঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহ মহাকাশে সাফল্যের সঙ্গে পাঠিয়ে দিল ইসরো।


যদিও, কয়েকদিন আগেই এই সংবাদপত্রেই ভারতের সাফল্যকে খাটো করে দেখানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, ভারত ছোট উপগ্রহ পাঠালও, বড় উপগ্রহ পাঠানোর ক্ষমতা নেই—যা আছে চিন, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।


প্রসঙ্গত, চিনের এই দাবি বর্তমানে মিথ্যে না হলেও, দ্রুত এই চিত্র পরিবর্তন হবে। কারণ, শনিবারই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের চতুর্থ স্টেজের পরীক্ষা করেছে ভারত। ফলে, এবার জিএসএলভি-মার্ক থ্রি রকেট উৎক্ষেপণ করতে সমর্থ হবে ইসরো। যার মাধ্যমে অতি ভারী উপগ্রহও মহাকাশে দূরের কক্ষপথে নিক্ষেপ করা সম্ভভ হবে।