সোচি: ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব এখন আরও উন্নত হয়ে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত অংশীদারিত্বে পরিণত হয়েছে। এটা কোনও সামান্য কৃতিত্ব নয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী শহর সোচিতে মিলিত হয়েছেন মোদী ও পুতিন। এখানেই দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে প্রথম একান্ত বৈঠক হচ্ছে। শুরুতে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী জানান, ভারত ও রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধু। দুদেশের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধুত্ব রয়েছে।


মোদী বলেন, এধরনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি পুতিনের কাছে কৃতজ্ঞ। দুদেশের এই দীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্কে এই বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। বলেন, আপনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে একটা নতুন আঙ্গিক যোগ করেছেন। এর ফলে, পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।


https://twitter.com/PMOIndia/status/998537044912680960

এই প্রসঙ্গে নিজের প্রথম রুশ সফরের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন মোদী। স্মরণ করেন, ২০০১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে রাশিয়ায় এসেছিলেন। সেই সময় তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পুতিনই প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রনেতা, যাঁর সঙ্গে তিনি মিলিত হন।


মোদীর দাবি, তখন থেকে রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নতি করছে। আগে দুদেশের সম্পর্ক স্রেফ কৌশলগত ছিল। কিন্তু, এখন তা উন্নত হয়ে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিতে বদলে গিয়েছে। এই কৃতিত্ব কোনও সামান্য বিষয় নয়।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারে রাশিয়া ও আপনার (পুতিন) ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আমার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সুত্রপাত রাশিয়া থেকেই হয়েছিল। প্রায় ১৮ বছর অতিক্রান্ত। আপনার সঙ্গে সেই থেকে একাধিকবার সাক্ষাত হয়েছে। প্রতিবারই, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি।


https://twitter.com/MEAIndia/status/998534793783533568

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করার জন্য এদিন পুতিনকে ধন্যবাদ জানান মোদী। বলেন, ব্রিকস সহ একাধিক আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছি। একইসঙ্গে, চতুর্থবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য পুতিনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করে চলেছে।


কূটনৈতিক মহলের খবর, মোদী ও পুতিনের মধ্যে প্রায় ৪-৬ ঘণ্টার কথা হবে। যদিও, সেই সরকারিভাবে সেই বৈঠকের কোনও অ্যাজেন্ডা থাকবে না। জানা গিয়েছে, বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে একান্তে আলাপচারিতা সারবেন মোদী-পুতিন। তালিকায় থাকতে পারে—ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, সিরিয়া, সন্ত্রাস মোকাবিলায় সহযোগিতা এবং ব্রিকস ও এসসিও-সম্পর্কিত বিষয়।