ওয়াশিংটন: ভারত ও পাকিস্তানের সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে বিতর্কে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে না আমেরিকা। মার্কিন বিদেশমন্ত্রক এমনই ইঙ্গিত দিল। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছে তাতে সায় দিলেন না মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি সিন্ধু জল চুক্তি সংক্রান্ত বিবাদে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়া দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে কিরবি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানকে মতপার্থক্যের বিষয়গুলি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আমেরিকা উত্সাহিত দেবে।
কিরবি জানিয়েছেন, কেরি গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।যদিও তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
পাক অর্থমন্ত্রক গত শুক্রবার এই আলোচনা সম্পর্কে নিজেদের বিবৃতি প্রকাশ করে।
কেরি সিন্ধু জলচুক্তি সংক্রান্ত বিতর্কে কেরি ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে কিরবি বলেছেন, বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াশিংটন ভারতীয় ও পাক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে।
মার্কিন বিদেশ বিভাগের মুখপাত্র কিরবি বলেছেন, গত ৫০ ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতার মডেল সিন্ধু জলচুক্তি। অতীতের মতো এখনও আমেরিকা যে কোনও মতপার্থক্য আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে উত্সাহিত করছে।
পাক অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, কেরি দারকে ফোন করেছিলেন। পাক সংবাদমাধ্যমে অর্থমন্ত্রকের বিবৃতি উল্লেখ করে দাবি করা হয়, আমেরিকা সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতার করতে চলেছে।
পাক অর্থমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, দার কেরিকে বলেন যে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা এবং ভারত যাতে তা মান্য করে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশ্ব ব্যাঙ্কের।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, কেরি দারকে বলেন যে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অভিযোগ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেছেন।