বেইরুট : মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বারুদের গন্ধে বাতাস ভারী। বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে বড় হামলা চালিয়েছে ইরান। পরপর প্রায় ২০০ রও বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে ইজরায়েলে। ছেড়ে কথা বলছে না নেতানিয়াহুর দেশ। হেজবোল্লাকে নির্মূল করতে লেবাননে একটানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। জনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও চলছে বোমাবাজি। ১৮ বছর পর এই প্রথম বেইরুটে বোমাবর্ষণ করল ইজরায়েল।  এই পরিস্থিতিতে একেবারে গ্রাউন্ড জ়িরোতে পৌঁছে গিয়েছে এবিপি নিউজ। লেবাননের বেইরুট থেকে ক্রমাগত খবর দিচ্ছেন  প্রতিবেদক জগবিন্দর পাতিয়াল। প্রতি মুহূর্তের অবস্থার কথা তুলে ধরছেন তাঁর প্রতিবেদনে।


লেবাননে হেজবোল্লার সঙ্গে ইজরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে।  চরম মূল্য দিতে হচ্ছে ইজরায়েলি দুই পক্ষকেই। এক দিনে ইসরায়েলের ১৭ সেনা হত্যার দাবি করেছে হেজবোল্লা। এদিকে হাসান নাসরাল্লাকে হত্যার পর তার উত্তরসূরি হাশেম সফিউদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলি গণমাধ্যম। এবিপি নিউজের প্রতিবেদক পৌঁছেছেন সেখানেও।


এবিপি নিউজের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, যে বাড়িটিতে মিটিং চলাকালীন হাশেম সৈফিদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি দক্ষিণ বেইরুটের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। হামলার ১৫-২০ মিনিট পরেও পুলিশ বা কোনও চিকিৎসা সহায়তা সেখানে পৌঁছয়নি। এই হামলা চালানো হয় ড্রোন দিয়ে, খবর সূত্রের।  বেইরুটের আকাশে এখন ক্রমাগত উড়ছে ইজরায়েলি ড্রোন। 


হেজবোল্লার ঘাঁটিগুলিতে লক্ষ্য করে করে আক্রমণ চলছে।  যদিও এই এলাকায় অনেক সাধারণ মানুষের বাড়িও আছে। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। প্রাণ বাঁচাতে সাধারণ মানুষকে ইতিমধ্যেই এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 


ABP News এর প্রতিনিধি পাতিয়াল জানাচ্ছেন,  দক্ষিণ বেইরুটই আপাতত ইজরায়েলের মূল নিশানা। কারণ দক্ষিণ বেইরুটই হোজবোল্লার শক্ত ঘাঁটি।   ইজরাইল এখানে প্রায় ৩০-৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হেজবোল্লার বড় বড় নেতারা তো বটেই , ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ গেছে বহু সমর্থকেরও। 


জানা যাচ্ছে, ইজরায়েল প্রথমে বেইরুটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা তার কৌশল পরিবর্তন করে।  প্রথমে ড্রোন হামলা করা হয় বেছে বেছে হেজবোল্লা-ঘাঁটিগুলোতে।  প্রতিটি হামলাতেই একের পর এক প্রাণ গিয়েছে। 






আরও পড়ুন :


মিসাইল হামলা-বোমাবর্ষণে বেইরুটে বাড়ছে মৃত্যু, জটিল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ-পরিস্থিতি