লন্ডন: যৌথ বাহিনীর বিমান হামলায় জখম কুখ্যাত ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর মাথা আবু বকর আল-বাগদাদি। ইরাকের নিনেভে প্রদেশের স্থানীয় সূত্রগুলি বাগদাদি ও তার সহযোগীদের যৌথ বাহিনীর বোমাবর্ষণে জখম হওয়ার খবরটি সত্যি বলে জানিয়েছে, এমনই রিপোর্ট ইরাকি সংবাদ চ্যানেল আল সুমারিয়া টিভি-র। সন্ত্রাসবাদী দলটির কমান্ডের সদর কার্যালয়ের একটিতে হামলা হয়েছে বলে খবর। জায়গাটি সিরিয়া সীমান্তের কাছে।

 

ইরাকি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের এক্সপ্রেস বলেছে, নিনেভের ৬৫ কিমি পশ্চিমে, ইরাক ও সিরিয়ার মাঝামাঝি সীমান্ত এলাকায় এক স্থানে গতকাল বোমা ফেলা হয় আন্তর্জাতিক জোটের বিমান থেকে। ওই এলাকায় ঘাঁটি আছে আইএসের। সেখানেই বৈঠকে হাজির ছিল বাগদাদি ও তার সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। বোমায় জখম হয় তারা। সূত্রটিকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে, বাগদাদির ওখানে থাকার সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই হামলা চলে।

বাগদাদি ও অন্য আইএস নেতারা একাধিক গাড়ির কনভয় নিয়ে সিরিয়া থেকে ইরাক ঢুকেছিল বলে জানিয়ে সূত্রটির দাবি, এলাকাটি ওদের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর মুখপাত্র অবশ্য বাগদাদির জখম হওয়ার খবর শুনেছেন বলে জানিয়েও বলেছেন, এখন তা সত্যি বলে ঘোষণা করার মতো কিছু নেই। সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকবার বাগদাদির আহত, এমনকী একবার মারা যাওয়ার খবরও শোনা গিয়েছে। যদিও কোনওবারই তার সত্যতায় সিলমোহর পড়েনি। ২০১১ সালে বাগদাদিকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে তাকে ধরতে বা মেরে ফেলতে পারার মতো পাকা খবর দিতে পারলে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করে মার্কিন বিদেশ দপ্তর। ২০১০ সালে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির নেতা হয় বাগদাদি। তবে আইএস সিরিয়া, ইরাকে খলিফা শাসন কায়েম হয়েছে বলে ঘোষণা করে ২০১৪ সালেই।