নিউইয়র্ক: বিস্তর ক্ষতি হওয়া সত্বেও ২০১৫ সালের নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নাম হল ইসলামিক স্টেট (আইএস)।


বুধবার আইএস-এর মোট আয় ও সম্পত্তির পরিমাণ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সেন্টার ফর অ্যানালিসিস অফ টেররিজম নামে একটি সংস্থা।

সেখানে বলা হয়েছে, আইএস-এর দখলে থাকা পেট্রো-ভাণ্ডারের ওপর গত বছর ক্রমাগত হামলা হওয়া সত্ত্বেও গত বছর ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা) অর্থ উপার্জন করেছে এই জঙ্গি সংগঠনটি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালের থেকে তা ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম হলেও, এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জঙ্গি সংগঠন নিঃসন্দেহে আইএস।

কিন্তু, এত ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও কী করে ২০১৫ সালে উপার্জন করল আইএস? গবেষকরা জানাচ্ছেন, উপার্জনের ক্ষেত্র বদলে ফেলার জন্যই আইএস-এর আয়ে কোনও প্রভাব পড়েনি। তাঁদের মতে, তেলের ভাণ্ডার ক্ষতি হওয়ার ফলে, আইএস এখন কর চাপিয়ে উপার্জন করছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, আইএস-এর দখলে যে অঞ্চলগুলি রয়েছে, সেখানে বসবাসকারী মানুষের থেকে বিশাল কর আদায় শুরু করেছে জঙ্গি সংগঠনটি। মূলত, এখন সেটাই তাঁদের প্রধান আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়া থেকে ২০১৫ সালে কর বাবদ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘরে তুলেছে আইএস। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শতাংশের হারে এই বৃদ্ধি ১২ থেকে ৩৩। এর থেকেই পরিষ্কার, সাম্রাজ্য বজায় রাখতে মানুষকে কী ভাবে নীপিড়ন করে চলেছে এই জঙ্গি সংগঠন।

রিপোর্ট বলছে, গত বছর তেল-কূপের লক্ষ্য করে লাগাতার মার্কিন বোমাবর্ষণের ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ জমি হাতছাড়া হয়েছে আইএস-এর। কিন্তু এখনও দখলে থাকা জমিতে যা তেলের ভাণ্ডার, গ্যাসের ভাণ্ডার, খনিজ পদার্থ ও গচ্ছিত নগদ রয়েছে, খাতায়-কলমে তার মোট সম্পদের মূল্য ২,২৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অঞ্চলে বসবাস করেন প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ। যাদের ওপর এই জঙ্গিরা অত্যাচার চালাচ্ছে। তাই আইএস-কে নির্মূল করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।