নয়াদিল্লি: নয় নয় করে একমাস হতে চলেছে যুদ্ধের। প্রস্তাব উঠলেও এখনও পর্যন্ত বিরতির কোনও লক্ষণ নেই। বরং ইজরায়েল বনাম প্যালেস্তাইন যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এবার প্যালেস্তাইনের শরণার্থী শিবিরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি সেনা বোমা বর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। তাতে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু বলে জানা গিয়েছে। (Israel Palestine War)
সেই আবহে ফের গাজার বাসিন্দাদের এলাকা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল। গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণে ওয়াদি গাজার দিকে সরে যেতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের। তার জন্য চার ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে গাজার বাসিন্দাদের। ওই সময়ের মধ্যে এলাকা খালি করে চলে যেতে বলা হয়েছে সকলকে।
এখনও পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান মিলেছে, সেই অনুযায়ী, যুদ্ধের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত গাজায় ৯ হাজার ৪৮৮ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২৪ হাজার ১৫৮। অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ১৫২ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক মারা গিয়েছেন। ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ এবং হামলার মুখে পড়ে সেখানে আহতের সংখ্যা ২ হাজার ১০০। ইজরায়েলের তরফে যুদ্ধে মারা গিয়েছেন ১ হাজার ৪০৫ জন। সে দেশের আহতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬০০।
এমন পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। যুদ্ধ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আন্তর্জাতিক মহল। এমনকি আমেরিকার ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও বিভাজন চোখে পড়ছে। মানবিকতার খাতিরে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করছেন একাংশ। অন্য একটি অংশ আবার এখনও ইজরায়েলের সমর্থনে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিভাগ জানিয়েছে, শুধুমাত্র উত্তর গাজাতেই ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন ৩ লক্ষ মানুষ। ইজরায়েলি সেনা গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে বললেও, সেখানেও লাগাতার বোমাবর্ষণ চলছে। তাই কোথাওই গাজার বাসিন্দারা নিরাপদ নন বলে দাবি উঠছে। এমনকি হাসপাতালগুলিও রক্ষা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ।