ইসলামাবাদ: ফ্রান্স থেকে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে এসে পড়ার পর ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে, কপালে ভাঁজ পড়ে গিয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তানের। পাকিস্তান মনে করছে ভারত অহেতুক ও অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অস্ত্র মজুত করা শুরু করেছে । আবার ভারত আগ্রাসী হয়ে উঠছে বলে দাবি করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। মোটের উপর হরিয়ানার অম্বালায় রাফাল নামার সঙ্গে সঙ্গেই স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে চিন আর পাকিস্তানের সঙ্গে। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আয়েষা ফারুকি বলেছেন, অকারণে অসঙ্গতিপূর্ণ ভাবে অস্ত্র মজুত করতে শুরু করে দিয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির ভারসাম্য এতে নষ্ট হতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আয়েষা আবেদন করেছেন, যেন এভাবে অস্ত্রভান্ডার গড়া থেকে ভারতকে নিরস্ত করা হয়। আয়েষা বলেন, সত্যি সত্যি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যতখানি প্রয়োজন তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সমরাস্ত্র মজুত করছে ভারত। এতে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তারা যে রাফাল বিমান বায়ুসেনার জন্য নিয়ে এসেছে তা আমরা জেনেছি।


নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক অস্ত্র জোগানদারদের সঙ্গে যে কথা হয়ে এসেছে এতকাল, তার খেলাপ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন আয়েষা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমরাস্ত্র কেনা-বেচার মধ্যে অশুভ ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্র কেনার এই দৌড়ে পাকিস্তান নামবে না বলেও জানান আয়েষা, কারণ তাঁর দাবি, পাকিস্তান নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

১৯৯৭ সালে রাশিয়ার থেকে সুখোই সু-৩০ যুদ্ধ বিমান কেনার ২৩ বছর পর ভারতের রাফাল কেনার সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছে অনেককেই। ‘ভারতের সীমানা যারা লঙ্ঘন করতে চায়, সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে চায় তারা সাবধান হোক’, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের এই সাবধানবাণীর প্রেক্ষিতে ভারতকে খোঁচা মেরে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, চিন আশা করে, ভারতের প্রাসঙ্গিক লোকজনের এ ধরনের কথাবার্তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থার স্বার্থ হয়তো পূরণ হবে।