সৌমিক সাহা, লন্ডন: পুরীর (Puri) আদলে জগন্নাথদেবের মন্দির (Jagannath Temple) তৈরি হতে চলেছে টেমসের পাড়ে। সবুজে ঘেরা মূল মন্দিরকে কেন্দ্র করে তৈরি হবে আরও অনেক মন্দির, ভবন। ওড়িশা থেকে নিমগাছের কাঠ নিয়ে গিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ।
লন্ডনে (London) ইউরোপের (Europe) সবথেকে বড় জগন্নাথ মন্দির তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জগন্নাথ সোসাইটি ইউকে (Jagannath Society UK)। পরিকল্পনা রয়েছে, ২০২৪ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠার। লন্ডনের জগন্নাথ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ ভক্তবত্সল পাণ্ডা বলেন, "২০২৪-এ জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি করব। সাউথহলের শ্রীরামমন্দিরে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ রেখেছি। এখানে এখন পুজোও হবে। ২০২২-এ জমি নেব। তুলসী বন হবে। রথযাত্রা হবে। মাসীর বাড়ি থাকবে।"
শুধু লন্ডনবাসী ওড়িশার (Odisha) বাসিন্দারাই নন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যের লন্ডন প্রবাসীরাও এই উদ্যোগে সামিল। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই লন্ডনের সাউথহলে শ্রীরামমন্দিরে (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ।
জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার পুজোও শুরু হয়েছে। নিবেদন করা হচ্ছে ভোগও। ভক্তবত্সল পাণ্ডা বলেন, "উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা, ২০ থেকে ৪০ একর জমি নিয়ে পুরীর আদলে বড় মন্দির তৈরি করা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তহবিল সংগ্রহের কাজ।" অন্যদিকে, ট্রাস্টি সদস্য শরদ কুমার ঝা বলেন, "২০ থেকে ৪০ একর জমি নেওয়া হবে। লাগানো হবে প্রচুর গাছ। পুরীর মতোই ভগবতী বা অন্য মন্দির আলাদা আলাদা তৈরি হবে। মন্দির হলে আলাদা মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে।"
পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির বাঙালির অন্যতম তীর্থ। লন্ডন প্রবাসী বাঙালিরা দেশে না এলে সেই তীর্থ দর্শনের সুযোগ পান না। লন্ডনে নতুন মন্দির তৈরি হয়ে গেলে প্রবাসী বাঙালিরাও টেমসের পাড়ে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ দর্শন, পুজো দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
পুরী থেকে ৮ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরের লন্ডনে এখন পুজো হচ্ছে জগন্নাথদেবের। প্রবাসে তিন দেব দেবীর চিরস্থায়ী পুজো পাওয়ার বন্দোবস্তও শুরু হয়েছে জোরকদমে।