২৪ তারিখ সিওলে এনএসজি-র প্লেনারি। সেখানেই ঠিক হয়ে যেতে পারে, ভারত এই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারবে কি না। সেই কারণেই এই কূটনৈতিক দৌত্য। চিন কিছুদিন আগেই এ বিষয়ে ভারতের বিরোধিতা করেছিল। বেজিং এখনও ভারতকে সমর্থন করতে রাজি নয়। কারণটা আর কিছুই নয়, চিনের আশঙ্কা, ভারত এই গোষ্ঠীর সদস্য হয়ে গেলে পাকিস্তান আর সেখানে ঢোকার ছাড়পত্র পাবে না। কিন্তু ভারত আলোচনার মাধ্যমে চিনের এই বিরোধিতা দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেষপর্যন্ত চিনের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বিদেশ মন্ত্রক।
২৩ তারিখ উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন-এর বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা হবে। তার ঠিক আগে বিদেশ সচিবের গোপন চিন সফরের খবরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। গত মাসের শেষদিকে যখন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় চিন সফরে গিয়েছিলেন, তখনও তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সেই সফরেও তিনি চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এনএসজি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এবারও তাঁর বার্তা, ভারত কোনও দেশকে এই গোষ্ঠীর সদস্য করার ক্ষেত্রে বাধা দেবে না।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনএসজি-র সদস্য দেশগুলি যদি এনপিটি চুক্তিতে সই না করা সত্ত্বেও ভারতকে সদস্য করার বিষয়ে সর্বসম্মত হয়, তাহলে চিনও রাজি হতে পারে। চিন চাইছে যেসব দেশ এনপিটি-তে সই করেনি, তাদের এনএসজি-র সদস্য করার বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হোক। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের দরজাও খোলা থাকবে।