লাহৌর: পাকিস্তানে নৃশংসভাবে খুন এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তাঁর স্বামী। 'পরিবারের সম্মাণ রক্ষায়' এই খুন (অনার কিলিং) বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, পঞ্জাবে পরিবারের অসম্মতিকে বিয়ে করায় এক অন্তঃস্বত্তা মহিলাকে তাঁর মা খুন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সম্মাণরক্ষায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটল।
মহম্মদ সাকিল (৩০) চার বছর আগে বিয়ে করেছিলেন বছর ছাব্বিশের আকসাকে। সম্প্রতি তাঁরা সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর আকসার ভাই তাঁদের দুজনকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।
সাকিল ফয়সালাবাদের সরকারি স্কুলের শিক্ষক। আকসা গ্রামীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী।
দিন চারেক আগে আকসার ভাই, মা,মামা ও অন্য এক সঙ্গীকে নিয়ে সাকিলের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা আকসা ও তার স্বামীকে বেদম প্রহার করে বাড়ির বাইরে বের করে কোনও এক অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এক খালে দম্পতির দেহ উদ্ধার করা হয়। সাকিলের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, সাকিল ও আকসার মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। আকাসা অন্তঃস্বত্বা ছিলেন। আর মাত্র চারদিন পর তাঁর সন্তান প্রসব হওয়ার কথা ছিল।
এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা ফেরার।
উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় পরিবারের সম্মতি না নিয়ে বিয়ে করায় ২২ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বাকে তাঁর মা খুন করেন বলে অভিযোগ।
গত সপ্তাহে লাহৌরে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করায় জিনাত নামে এক ১৮ বছরের তরুণীকে পুড়িয়ে খুন করে তার মা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে প্রতি বছর প্রায় ১,১০০ মহিলা অনার কিলিংয়ের শিকার হন।