টোকিও: জাপানের রাজধানী টোকিও আগামী মাসে চালু হচ্ছে ‘নগ্ন রেস্তোরাঁ’। সেখানকার নিয়ম-কানুন আজব। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সিদেরই শুধু প্রবেশাধিকার থাকবে। ঢোকার সময় বয়সের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এমনকী, কারও শরীরের ওজন দৈর্ঘ্য অনুযায়ী স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ কেজি বেশি হলে তাঁকে এই রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দেওয়া হবে না। এখানেই শেষ নয়, কারও শরীরে ট্যাটু থাকলে তাঁকেও দরজা থেকেই ফেরত পাঠানো হবে।


 

লন্ডন ও মেলবোর্নে এই ধরনের ‘নগ্ন রেস্তোরাঁ’ আছে। সেই রেস্তোরাঁই এবার চালু হচ্ছে জাপানে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অমৃত’। ২৯ জুলাই থেকে খুলে যাবে রেস্তোরাঁর দরজা। তবে নিয়মের বেড়াজাল টপকে তবেই ভিতরে যাওয়া যাবে। এখন থেকেই এই রেস্তোরাঁর ওয়েবসাইটে নিয়মের তালিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওজন, বয়স, ট্যাটু সংক্রান্ত নিয়ম ছাড়াও বলে দেওয়া হয়েছে, রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করার পর অন্য কোনও অতিতিকে বিরক্ত করা চলবে না। মোবাইল ফোন, ক্যামেরাও একটি বাক্সে রেখে খেতে ঢুকতে হবে।

 

‘অমৃত’-তে খেতে যেতে হলে অনলাইন বুকিং করতে হবে। এখন থেকেই বহু মানুষ বুকিং করছেন। সেই কারণেই সংস্থার পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে, যাদের ওজন খুব বেশি, তাঁদের সেথানে না যাওয়াই ভাল। কারণ, বুকিং করে যাওয়ার পরেও কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই তাঁর ওজন করা হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারলেই না খেয়ে ফিরে আসতে হবে। অবশ্য সেক্ষেত্রে আগাম হিসেবে দেওয়া অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে।

 

‘ওজন’ নিয়ে এই কড়াকড়ি অতিথিদের স্বার্থেই বলে দাবি করেছেন ‘অমৃত’-র মুখপাত্র মিকি কোমাতসু। তিনি বলেছেন, লন্ডনের রেস্তোরাঁয় স্থুলকায় ব্যক্তিদের যেতে বাধা নেই। কিন্তু সেখানে তাঁদের নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকে। অনেক অতিথিই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেই কারণেই টোকিও-তে এই নিয়ম করা হয়েছে। প্রাচীন রোমান চিত্রে যেমন সুন্দর নগ্ন শরীর দেখা যেত, সেই ধরনের শরীর বিশিষ্ট অতিথিদেরই চাইছে ‘অমৃত’।

 

এই রেস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচ ১৪ হাজার থেকে ২৮ হাজার ইয়েন। পুরুষ মডেলদের নাচ দেখতে দেখতে খেতে চাইলে খরচ পড়বে ৮০ হাজার ইয়েন। খাবার দেবেন পেশিবহুল চেহারার পুরুষরা।